আমার গাঁয়ের আঁকা-বাঁকা মেঠো পথের পাশে,
কলা পাতার ঘর বেঁধেছি,শয্যা নরম ঘাসে।
ছোট্ট ছোট্ট থালা-বাসন,ছিল ছোট্ট চুলা,
ছোট্ট হাতে ঝাঁড়তে ধূলো,ছিল ছোট্ট কুলা।
সুতি পাটের ছোট্ট চারার ছাড়িয়ে নিয়ে আঁশ,
ছোট্ট ঘরের ছোট্ট বেড়া দিয়েছি চারপাশ ।
ছোট্ট ছোট্ট তুলোর পুতুল, পুতুল ছিল মেটে,
পুতুল বিয়ের আয়োজনে বেলা যেত কেটে ।
রুনু,ঝুনু মাছ ধরত,ছোট্ট ডোবা হতে,
বড় পুঁটি দিতে চাইতো বর-কনের পাতে।
বিলের ধারে হেলেঞ্চা আর কলমি শাঁকে ভরা,
মা দিয়েছেন লাউ পাতা আর জালি লাউয়ের কড়া।
নূন এনেছি,তেল এনেছি মায়ের কাছে চেয়ে,
হলুদ-মরিচ কিনে ছিলাম আড়াই টাকা দিয়ে।
সকল কিছু যোগাড় হলে রাঁধতে কেহ যেত,
কেউ সাজাতো বর- কনে,কেউবা ঘর সাজাতো।
পুতুল বিয়ে হয়ে যেত রান্না হলে শেষ,
সবাই মিলে খাবার খেতাম মজা করে বেশ।
এমনি করে কখন যেন সূর্য গেল ঝুলে,
হঠাৎ দেখি অনেক দূরে, অতীত গেছি ভুলে ।
তবু মনে জেগে ওঠে ছোট্ট বেলার স্মৃতি,
কেমন করে হয়ে গেল,সেদিন গুলোর ইতি।