নিকোটিনকে হার মানিয়ে,
দাঁতে কলম চেপে বহুলাংশে টোলের চিহ্ন।


গভীর থেকে গভীরতর হয় ব্যর্থতার ঘোর।


এ বোঁঝা বয়ে বেড়াবার নামই মধ্যবিত্ত জীবন।


বার বার হেরে যাবার এ বোঁঝা চেপে বসে স্নায়ুদেশে।


অচেনা পোকার কান ঝাজানো স্বরে ক্ষণিক ফিরে আসে চৈতন্য।
এ যেন ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন  নরক।
মাথার চুলগুলো ছিলো বলে-


বুকের ভেতর সুপ্ত আগ্নেয়গিরি জানান দেয় তার অস্তিত্ব।
মুহূর্তে জ্বলে পুড়ে ভস্ম।
আবার জ্বলে----
মধ্যবিত্তের সারাজীবন যেমন করে জ্বলতে হয়।


ইচ্ছে করে পরলোকগত বাবাকে লিখতে-


মধ্যবিত্তের দ্বারা এটা অসম্ভব নয়।


মাকে লিখবে???
ভাবতেই ভাসতে হয় অশ্রুপাতে।


তাও লিখে-
ক্ষমা করে দিও হে জননী।


ছেঁড়া কাগজের আর্তনাদে চিলেকোঠাই শেষ আশ্রয়।


ইচ্ছে হয় নদীতে ঝাঁপ দেবার মত এখনই নিকৃষ্ট উল্লাসে মেতে উঠতে।


ঘোরের তোড়ে পা চলে অজান্তে।


বাতাসে গায়ে মৃদু দোলা দেয়।
কিশোরী মেয়ের কানের দুলের ন্যায় রোমাঞ্চকর সে দোল।
অশুভ আত্মার আহবানে পা চলছে ক্রমাগত।বিরহিণী হুলো বেড়ালের আহাজারি স্মরণ করিয়ে দেয় জীবনকে।
আধো আধো কথা বলা ছোট ভাইটির কথা বেশ মনে পড়ে।
সে কি এই আত্মার রাজ্যে আমায় খুঁজতে আসবে।
না না,অতবড় হয়নি ও।
বাবাকে তো দেখেনি সে।
মাকে কি জিজ্ঞেস করবে আমার কথা পুনর্বার???
মা ই বা কী জবাব দিবে???
ভাষাহীন,প্রানহীন মাকে দেখা যায়-
মধ্যবিত্তের কল্পনা জুড়ে।


দু গাল বেয়ে জল পড়ে।
মা আমার নিস্তব্ধ, নিথর।
আমি আর সইতে পারিনা।
বুকের ভিতরটায়  কেঁদে উঠে বারবার।
কেঁদে উঠে মধ্যবিত্ত জীবন।
গভীর রাত্রি তার ভাষা বোঝে।


উত্তপ্ত মস্তিষ্ক শীতল হতে চায়।
আঁখি মেলে দেখে এ শহর,ভবন।


চারিদিকে নিস্তব্ধতা নিয়ে-
কালের সাক্ষী হয়ে -
যেন মৃত নগরীর মত দাঁড়িয়ে আছে এ নগর,
নগরের ভবনগুলো।
যার রয়েছে হয়তো এক সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল ইতিহাস...............


তার জীবন নেই,
কষ্ট নেই,
মৃত্যুর ভয় ও নেই---
সে যে মধ্যবিত্ত নয়।


উৎসর্গঃ
মারিয়া রহমান মীমকে(আমার দেখা সবচেয়ে দায়িত্বশীল  মেয়ে)