আসলো যখন মায়ের কোলে,আমার ছোট্ট বোন;
স্বর্গ সুখে উঠলো ভরে,ছোট্ট গৃহের কোণ।
নাম রেখেছি পিন্টু যে তার,সবার ছোট তাই;
বছর পরেই পিন্টু আমার দলে নিলো ঠাঁই।
আমার ভাষা বুঝতো সে যে,জমতো আলাপ বেশ;
চোখে-মুখে উঠতো ভেসে,অনুভূতির রেষ।
নিজের হাতে খাইয়ে দিতাম, খেলতাম দিবা ভর,
আমায় পেলে সাহস পেতো,ভুলতো সকল ডর।
দিনে দিনে উঠলো বেড়ে,হলো পাঁচ বা ছয়;
খুনসুটিতে হেরে গিয়ে,দেখায় বাবার ভয়।
ছায়ার মতো থাকতো আমার,চাইতো সমান ভাগ;
মাঝে মাঝে ছুটতো পিছু, লাগতো ভীষণ রাগ।
এমনি করে মাধ্যমিক টা করে দিলাম পার;
শহর পথে দিলাম পাড়ি,সঙ্গ ছেড়ে তার।
যার হাসিতে হাসতাম আমি,নেই কাছে সে আজ;
স্বার্থপরের এই শহরে ,আপন হলো কাজ।
পিন্টু এখন অনেক বড়,করবে স্বামীর ঘর;
ছোট্ট রবে আমার কাছে সারা জীবনভর।
তার সুখেতে সুখী আমি,তার দুখে পাই দুখ;
হাসিপূর্ণ রাখুক প্রভূ,তার ঐ চন্দ্রমুখ।