প্রেমের পুষ্প ফোটে আর ঝরে ফুরায় সোনালি ফাগুন ;
পাপড়ির ব্যথা দলিত হবার,যে ব্যথা  জ্বালায় আগুন।


তোমারে স্মরিয়া দখিনা পবনে সুরভীর চিঠি পাঠিয়ে;
আশা নিয়ে বুকে রজনী জাগিল তুমি যাবে তারে বাঁচিয়ে।


প্রহর যখন প্রতিকূলে রহে বসন্তে ঝরে শ্রাবণ;
গ্রীষ্মের খরা আনিবে ডাকিয়া আষাঢ় মাসের প্লাবন।


দুটি  হৃদয়ের সদৃশ স্বাদ ঘটেনি তবুও মিলন;
ন্যায্য প্রাপ্তি শুন্য যেথায় তাহাকে বলিবো জীবন!


সে জীবন আমি মানিতে পারিনা,ভেদাভেদ যেথা কৃষ্টি;
সে জীবন কারে কি বা দিতে পারে কি করিবে নব সৃষ্টি?


মানুষের হাতে সমাজ তৈরি মানুষই ভাঙিয়া গড়িবে;
যুগে যুগে রীতি আসিবে যাইবে মাঝে কিছু ফুল ঝরিবে।


আমি নই কোন ভীরু কাপুরুষ,মারিব যুগের সর্প,
প্রাচীন কাঁদিবে দেখিয়া যুগের বীরত্বপূর্ণ দর্প।
চূর্ণ করিব,অন্যায়ের যত কলুষযুক্ত দেয়াল
মুছিয়া ফেলিবো অকল্যাণী জীর্ণশীর্ণ খেয়াল।
অতঃপর ফুটাবো সহস্র ফুল,পাপড়িরা নাহি ঝরিবে;
ছড়াইয়া ঘ্রাণ আমাদের গৃহে অমর এ প্রেম স্মরিবে।


আর নয় জল,রচিবো স্বপন এবার তোমারে ঘিরিয়া;
আসিবে শীঘ্র কিছুদিন বাদে সুখের স্বর্গ ফিরিয়া।