জানি ,
এখনো তুমি দড়ি লাফ খেলো
খেলো কানামাছি , বৌছি ।
এখনো যেন তুমি
লাফ ঝাপ দুরন্ত কিশোরী ।
কিন্ত,
এখন আমি
দাড়িয়াবান্ধা খেলিনা আর
আগের মতো
খেলিনা কাবাডি ও ।
এখন আমি শুধু সাদা মেঘ
দেখি আকশের বুকে ।


জানি , এখনো
“ শামসুর রাহমান ” এর
উদাস দুপুরে মধ্য পুকুরে ,
তুমি সাঁতরে বেড়াও ।
কিন্তু
আমি এখন আর
পুকুরে নামিনা , যদিও বা
নদীর কাছে যাই কখনো
তবুও আমার আর জলের মাঝে
ব্যাবধান থাকে
একাটা কাঠের নৌকো ।


আমি জানি , তুমি এখনো
সরষের হলুদ মাঠ থেকে
রঙ নিয়ে , ঘুরি উরিয়ে
ছবি আঁক আকাশের বুকে ।
এখনো বিলের পানিতে
শাপলা দেখলে
তোমার  নেমে যেতে ইচ্ছে করে ।
এখনো ইচ্ছে করে
শাপলার মালা গলায় পরতে
আর আমি এখন ,
শাপলা দেখি ক্যামেরার লেন্সে ।
নাটাইটা হারিয়ে গেছে
অনেক আগেই , তাই
শুধু ঘুরি দিয়ে ঘর সাজাই ।

একসময় তোমার সাথে
মনের মিল  ছিল খুব
কিন্তু এখন . . . . . .
হয়তো বদলে গেছি আমি ।
এতে দোষ নেই তোমার
দায়ী নই আমিও এখন ।
তোমার প্রতি ছোটবেলা থেকে
একটু একটু করে ভালোবাসায়
পূর্ণ হয়েছিলো
যে হৃদয়টা ,
তার তলাটা ছিড়ে দিয়ে
দুজনকে আলাদা করে দিয়েছে
আমার নাগরিক জীবন ।