যে পাহাড়ে যাব যাব করে মনে মনে ব্যাগ গুছিয়েছি অন্তত চব্বিশ বার-
একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই-
পাহাড়, ঝর্ণা, জংগলের গাছ, গাছের বুড়ো শিকড়- শেকড়ের কোটরে পাখির বাসা;
সবকিছু বেরিয়ে আসবে শরীরের ভেতর থেকে
বুকের মধ্য দিয়ে বের হয়ে আসবে হামিংবার্ড আর রক্তে সাঁতরে বেড়াবে ডলফিন পরিবার।


একবার অটোপসি টেবিলে শুয়ে নেই –
গলগল করে পেট থেকে-
গলার নালী পুড়ে পুড়ে মুখ দিয়ে
বেরিয়ে আসবেঃ
অতি সতর্ক থিসিস পেপার, যত্নের প্রেমিকাকে লেখা চিঠিপত্র, দুমড়ে যাওয়া বাজারের ফর্দ, কবিতার খসড়া, পুণ্যবতী চাঁদ, পায়ে না লাগানো সমুদ্রের জল-বেলাভূমি, আর সতেরো ডিজিটের জাতীয় পরিচয়পত্র।


একবার আসুক অটোপসি রিপোর্ট-
মর্গের ডোম জানবে নিশ্চয়ই;
হৃদপিণ্ডের কোণ প্রকোষ্ঠে সঞ্চিত রক্ত আর কোণ প্রকোষ্ঠে ভালোবাসা!
ভালোবাসা ব্যাপারটা ও’ বুঝেছে, অলিন্দ নিলয় কেটে-কুটে।
কারণটা জানা দরকার খুব,
ঠিক কীভাবে মরবো সে ব্যাপারে কিছুই ভেবে উঠতে পারি নাই এখনো।