কমপক্ষে একজন নারীকে আমি চিনি- যে শাড়ি প্যাঁচাতে জানে না
আমিও পারি নে; পয়েন্ট টেবিলে সমতা।
সে ভালবাসতে জানে না-প্রেম করতে জানে না- চুমু খেতে জানে না
অন্তত আমাকে তো খায়নি কোনদিন; আমিও না----------
আবারও সমতা; ২:২


বল এবার আমার কোর্টে-
প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবতে নেই ঠিকই
কিন্তু যখন সে মত্ত থাকে চরম ফ্যান্টাসিতে - বেহুঁশ ভাবা অনুচিত নয়;
আমার প্রতিপক্ষ- আমার চেনাজানা নারী-
আমাকে সে আ-জীবনকাল ভেবেছে কাপুরুষ-
অথচ সে জানে নিজেও,
সান্ধ্য আইনে বিছানার রাজত্ব তার হলেও জয়ী হবার মত কিছু শব্দ আমারও আছে;
ব্রহ্মাস্ত্র তুলে রাখা আছে--------


এ এমনই এক বাণ, যাতে মৃত্যুও আছে মোক্ষলাভও আছে-
প্রেমও আছে বিরহও আছে;
বুকে বিঁধলে প্রেম আর নিশানা মাথায় হলে রক্তক্ষরণে নির্ঘাত মৃত্যু।।


গর্দানের সামনে যখন বক্র-ছুরি—সময় অপচয় তখন খামখেয়ালীপনা
একটা তাই অব্যর্থ অস্ত্র নিশানা করতেই হল-
তাকে বললাম,
“তুমি রমণী, তুমি নারী, তুমি কামিনী-তুমি যামিনী------------------ ”


শেষ কথাটা আমাকে আর সে বলতে দিল না
তার পূর্বেই চোখ তার হয়ে উঠলো নীল - শরীরের চামড়া হয়ে গেল ফ্যাকাসে -
বাণ প্রেমের হয়নি, হয়েছে মৃত্যুর।


এই অব্যর্থ মৃত্যুবাণেরও আছে নিরাময়-
দাওয়াই আছে গাছের চূড়ায়- গাছ আছে জংগলে- জংগলে আছে পাঁচটা বটবৃক্ষ,
বৃক্ষের শিকড় উঠেছে হাতির পায়ের ছাপ থেকে-
বৃক্ষের মাথায় আছে গোখরো সাপ- সাপেই আছে শাপমোচন।


অহর্নিশ যে যাতনা নারীর বুকে-
যে বিষ তার সমগ্র শরীরে-
যে সত্তা সে করে আছে ধারণ;
তত্ত্বকথায় তার কেন এত ভারী হয় কান?
বর্ষার জলে কিসের এত মৃত্যু তাড়না তার?
প্রবল বর্ষণে ‘পুরুষ’ নামক যে শব্দে ভারী হয় কান -
যে শব্দের মধ্যে এত শৌর্য-বীর্য ও দাম্ভিকতা - যতটা নারী ভাবে;
তারও কয়েক’শ গুণ অধিক প্রেম-স্নেহ-আদর ও আবেদন থাকে ‘নারী’ শব্দে।।


নারীর নারীত্ব আসলে- আসে পূর্ণতা-
পুরুষের পৌরুষ আসলে- আসে ধ্বংস।
হর্ষ-বিষাদ চলতে হয় যুগপৎ-
অথচ একজন আরেকজনকে ভেবেছে প্রতিদ্বন্দ্বী
নয় যুগল অনুবন্ধী।


ও আমার ঘর গোছানী-পর নারী -
ও আমার রাত্রি জাগা- আদর মাখা -
ও আমার দূর রাণী- রাত কাটেনি -
ও আমার আপনা নারী, মরতে মরতে যাও বেঁচে যাও-
এমন করুণ মৃত্যু হলে বাঁচবে বলে ক’জন পুরুষ ?
তোমার মৃত্যু হলে তোমার জরায়ুতে পচে মরবে অচল পৌরুষ;
ও আমার বেপরোয়া নারী- যাও শুনে যাও অমোঘ দাওয়াই-
যাও শুনে যাও সেই কথাটি – যে কথাটি হয়নি বলা-
‘তুমি যাত্রী-তুমি রাত্রি-তুমি কামিনী-তুমি যামিনী’-
তুমি- তোমার বুকই এই ধরণী।


এবার আবার ফিরে যাই পয়েন্ট টেবিলে-
২:২ এর পরে-
আর কি বিশেষ কিছু ছিল ঠিক গুণে রাখবার মত !