সময়ের ব্যাপ্তি থেকে এক শ্রাবণ সকাল চেয়ে নিতে চাই
যে সকালে থাকবে না তাড়াহুড়ো করা ডিমের মামলেট কিংবা মোজা বিহীন জুতো
থাকবে না স্টেশনের ভুভুজেলা অথবা ব্যতিব্যস্ত ফেরীওয়ালা;
যেন যেকোনো শকটই পৌঁছে দেবে জলের ঠিক কাছাকাছি।


হয়ত তখন জলের তরঙ্গে বালুর মত ঝিকিমিকি করবে সকালের সোনালী আলো,
হয়ত গভীর জলে হাত ছুঁইয়ে খুঁজে পাব অনেকদিন আগের হারিয়ে যাওয়া আশ্চর্য কোন প্রদীপ।
হয়ত হাওয়ার বেগে কানে ভেসে আসবে অস্পষ্ট কিছু নাম,
তা আসুক; সেগুলো অগ্রাহ্য করে যাব অনায়াসেই।


সমস্ত-দিন জলের সাথে কাটিয়ে
জলাঞ্জলি দিয়ে অতীতের সব ক্লেশ ;
নদীর বুকে তেজী সূর্যটা যদি ক্রমশ নিস্তেজ হয়ে আসে,
মাঝি যদি বিনে অনুরোধেই ধরে কোন ভাটিয়ালি -
গুঞ্জরিয়া ওঠা স্তব্ধ উদাসী প্রাণে;
স্ফীত জলের উৎকলিত লহরী বুঝে আছেরে পড়ে বুকে।


অন্যকোনো দিন হয়ত অন্য কোন সকালে
বেলায় অবেলায়;
সন্ধ্যার ঘনঘটা আয়োজনে এক শর্বরী বুকে নিয়ে
নদীর পাড়ে কুড়াতে বের হব ঝিনুক অথবা প্রিয়ার চোখ।
সমস্ত-দিন জলের সাথে কাটিয়ে
সন্ধ্যায় যদি মেঘের ডানায় ভর করে বাড়ি ফিরে শুনতে পাই
বেজে চলছে বাতাসের সেক্সোফোন,
উত্তরের হিমেল হাওয়া এনে দিলেও দিতে পারে অবেলার তুষার ঝড় ।