অনেক দিন 'পর হৃদয় মাঝে বিদ্যুত্ খেলেছিল।
ঝাউ বনের ফাঁক দিয়ে
সমুদ্র সৈকতে দেখলাম তোমাকে।
তুমি ছিলে কি!
ভাবলাম কিছুক্ষণ।
অনেক পরিবর্তন তোমার চেহারাতে।
সেই সিপসিপে চেহারাটা
আজ আর নেই।
বেশ সুন্দর সুঠাম গোলগাল হয়েছ তুমি।
চিত্কার ক'রে ডাকতে ইচ্ছে করছিল-" অনামিকা"
থেমে গেলাম, একটু ভালো ক'রে দেখলাম তোমাকে।
নীল সমুদ্র তোমার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
অস্তগামীসূর্য্যেরকিরন,                                                                 সমুদ্রের তরঙ্গে প্রতিসরিত হয়ে
অপূর্ব এক হালকা লালিমাময় স্বর্ণাভ আলোক মালায়
চকমকে হয়ে উঠেছিল তোমার মুখ খানি।
তুমি অপলক দৃষ্টিতে সমুদ্রের শিথিল তরঙ্গে
নিজকে বিলীন ক'রে দিচ্ছিলে - গভীর প্রেমের আবেশে।
নীল ক্যাফ্রির নীচে, ঊন্মুক্ত পা দু'টিকে
সমুদ্রের শান্ত ঢেউ, চুমু দিয়ে যাচ্ছিল-গভীর ভালোবেসে।
ভাগ্যবান ঢেউ গুলি সরে যায়,
তখন তুমি বালুকা বেলায়।
গোল্ডেন ফ্রেমের সানগ্লাসের নীচে
গোলাপী ঠোট দু'টিকে আলত চুমু দিয়ে
দিনান্তের লাল সূর্য্যটা
হালকা শিহরণ জাগিয়ে গেল তোমার সর্বাঙ্গে।
তুমি হারিয়ে যাচ্ছিলে সমুদ্রের নিতম্বে।
হালকা হিমেল হাওয়ায়, কলপ করা কালো চুল উড়িয়ে
হটাত্ সানগ্লাস খোলাতে বুঝলাম-"তুমি"!
"তুমি অনামিকা!" সেই মায়াবী চোখ!
যে অনেক কথা বলেছিল, বাইস বছর আগে।
আমি চিনতে পেরেছি!
খুশীরপ্লাবনবহেগেল                                                                     শিরা-উপশিরা, রোমে রোমে।
ছুটে গেছি সৈকতে-
বালুকাবেলায় দেখেছি- কেবলই তোমার পদচিহ্ন।
নেই, তুমি নেই!
গহন সমুদ্র সৈকতে,
আজও তুমি মরীচিকা হয়ে গেলে।