কবিতাঃ-অমিল ছবি
✍️ মনোজ ভৌমিক


ভাবছি মনে শেষ সময়ে হাজার রকম গল্প,
সুরের মাঝে বেসুরো তাল বলছে সময় অল্প।
সাবেকী সেই আয়না লুকোনো চিলেকোঠার ঐ ঘরে,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে তো হয়...ঢুকবো কেমন করে!


দাদাঠাকুরের কঠিন শব্দ মনকে ভীষণ নাড়ে,
মানুষটা নেই ভাবনা আজো ঘুরছে সবার ঘাড়ে।
পিতৃ পুরুষের ছবিগুলি নাকি দেওয়ালে আছে আঁটা!
কার সাথে মিলবে এ ছবি কৌতুহলে নেই ভাটা।


বাগমানেনা ধড়াস করে দরজাটা গিয়ে খুলি,
পাঁচ পুরুষের ঐ ঘরটায় জমেছে অনেক ধূলি।
ধূলো মুছে দেখলাম ঘরে টাঙানো ছবি তিনেক,
সাবেকী আয়নায় দেখি আমি পরিবর্তন দেহে অনেক।


ভালোভাবেই খুঁটিয়ে দেখি দেয়ালের সব ছবি,
মিললো নাতো এক চেহারাও ব্যর্থ এ প্রতিচ্ছবি।
কি করে বোঝাই মন বেদনা বোঝানো কারেও যায় না,
হঠাৎ করেই ভেবে বসি মিথ্যে  বুঝি আয়না।


দেশ কাল আর সমাজটাতে জমেছে প্রচুর ধূলো,
তাই তো আজ সাবেকী আয়নায় মেলে না ছবিগুলো।
ধাপে ধাপে এগোতে গিয়ে বিবর্তিত হয় ছবি,
দেখছি আজ অমিল ছবি যায় অস্তাচলে রবি।