কবিতাঃ- অনুপমা চাঁদ
✍️ মনোজ ভৌমিক


বাউণ্ডুলে ঐ আকাশটাতে দেখি সময়ের খিল!
পূর্ণিমা চাঁদ ঢাকা পড়ে গেছে দেখা বড় মুশকিল।
বিষাদ এখন মনের মধ্যে ধোঁয়াশা চোখের তারা!
উন্মাদ এ হৃদয়টাকে বোঝাবে বলো কারা!!


চোখের সামনে উঠছে জেগে মায়াময় রূপখানি!
হেমন্ত আকাশ বুঝেও বোঝে না,কেন করে মনমানি?
জীবনের কত অলীক স্বপ্ন ওর সাথে জুড়ে আছে,
গ্রীষ্ম,বর্ষা,শরৎ,শীত ও বসন্ত ভেবে ভেবে চলে গেছে।


অস্ফুট সেই শৈশব সেদিন ভুলেছিল ওর রূপে!
কপালে যদিও দেয়নি টুকু, দেখেছিল নিশ্চুপে!!
নাবালক সময় দেখেছে ওদিন জ্যোৎস্না ভরা আকাশ!
হতবাক দুই চোখে ছিল তার কৌতূহলী প্রকাশ।


ভাবাতুর সেই কৈশোর চোখে শত স্বপ্নের আনাগোনা,
আবেগী হৃদয়ে শব্দের বাণ কত কবিতার জালবোনা!
মধুমাসী সেই যৌবন চোখে ছিল অনন্ত প্রেম সুধা!
জ্যোৎস্না আলোকে আলোকিত হতো দিশেহারা বসুধা।


ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে দেহের আলো সময়ের পক্ষাঘাতে, কলঙ্কের ছাপ বুকে বয়ে নিয়ে কেঁদেছে অমাবস্যা রাতে।
গ্রহণ লেগেছে কত শত বার অভিযোগ ছিল না কোনো,
তবুও ভুবনে জ্যোৎস্না দিয়েছে স্বার্থ ছিল না জেনো।


একলা আকাশে হেসেছে সদাই, দুঃখ বুকেতে চেপে,
অনুপমা ও,শুধুই দিয়েছে, নেয়নি তো কিছু মেপে।