কবিতাঃ- বার্ধক্য
✍️ মনোজ ভৌমিক


বয়স বাড়ছে এই পৃথিবীর বুড়ো হচ্ছে ধীরে ও,
সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, তারাও আজ ভাঙছে নিজের দেহ।


সবাই জানে, কেউ বলেনা,কেমন আছে ওরা!
ক্রমান্বয়ে আকাশ হতে খসছে অনেক তারা!


কেউবা বলছে, ব্লাকহোল ওরা, কেউ, ঈশ্বর কণা,
সবারই কিন্তু হচ্ছে বয়স বার্ধক্যে হয় গোনা।


মানুষ তো আর যায় না বাদ সময়ের এ খেলায়,
কলপ করলে ওই পাকাচুলে বার্ধক্য কী লুকায়?


আসল সত্য ভাবতে আজ লাগছে ভীষণ ভয়,
দেহের মাঝে মনটা কাঁদে হৃদয়েতে সংশয়!


পাকছে চুল,পড়ছে দাঁত, করছে পা টলমল,
ঝাপসা চোখে চশমা পরি, শরীরে নেই সে বল!


শৈশব ছিল বড় মনোরম,কৈশোরে ভাবের জ্বালা,
যৌবনে হলাম কলুর বলদ বার্ধক্যে কালবেলা!


অভিজ্ঞতা চুপ করে রয় দেওয়াল ভাঙা মনে,
ছিন্ন বীণায় সুর বাজে না সময়ও সেটা জানে।


গোধূলির রং করছে খেলা সন্ধ্যা নামছে ধীরে,
আঁধার নামছে দিগন্ত ছুঁয়ে  ডুববে সূর্য অচিরে!


কাছের মানুষ দূর হয়ে যায় একান্তে কাঁদেছে মন,
আঁধার হাতড়ে খুঁজছে একাই কে ছিল তার আপন!


শিয়রে দাঁড়ায় কঠিন আঁধার পায়না খুঁজে আলো,
ঈশ্বরে ডাকে,পার করো হে,খেলা যে অনেক হ'লো।


সময় শুধু হাসছে একা আপন তাল ও ছন্দে,
ক্যালেন্ডারেই বয়স বাড়ে ভাবনা থাকে দ্বন্দ্বে।


বার্ধক্য আসে না তো ওর! আসে না তো ছেলেবেলা!!
তোমাতে আমাতে খেলছে শুধু জিতে হারার খেলা।