কবিতাঃ- বিশ্ব দেখুক হকচকিয়ে
✍️ মনোজ ভৌমিক


দিব্যি আছো রঙ লাগিয়ে মানুষ নামের সং সেজে,
ধর্ম হাওয়া খাচ্ছো তো বেশ দ্বন্দ্ব লাগিয়ে সব কাজে!
বলতে পারো ঐ ধর্ম নিয়ে কেন এত উৎপটাং!
ধর্মটা তো তৈরি তোমার লাগায় কি ও ভাঙায় রাং?


বলবে কি আজ ঐ ধর্ম ব্যাটার বর্ণ জাত কেমন হয়?
পা দুটো কি তোমার মতই!হাত দুটো কি কথা কয়??
সত্যি বলতে মানুষ তুমি, আজ সভ্য নামের অসভ্যতায়,
তোমার স্বরূপ খোঁজা যেন চার পেয়োকেও হার মানায়!


ইঁট,পাথর আর সিমেন্ট, বালির জাত ধর্ম আছে নাকি?
গড়লে বাড়ি চার দেওয়ালে ধর্ম নামের ছবি আঁকি।
কারখানার ঐ পোশাকগুলোয় আছে কি লেখা ধর্মের নাম?
পরছি যখন দেহের পরে তুমি আমি হই রহিম রাম।


অসুখ বিসুখ হয় সবারই,ধর্ম খুঁজে আসে কি রোগ?
ঐ ওষুধগুলোর ধর্ম তো নেই, সব জাতকেই করছে নীরোগ।
গীতা, বাইবেল, ত্রিপিটক, কোরান বই দোকানে পৃথক থাকে?
হাতের মুঠোয় এলে পরেই,জাত ধর্মের বিভেদ আঁকে!


দিব্যি আছি চা'র দোকানে, আজব গজব গল্প শুনি,
গরম চা'য়ে উঠলে ধোঁয়া, ধোঁয়ার মাঝে প্রমাদ গুনি!
ঐ পাগলগুলো দিব্যি আছে, ধর্ম কথায় নেই লড়াই,
পোষ মানা ঐ পশুগুলোর ধর্ম নিয়ে করে কি বড়াই?


মানুষ তুমি দিব্যি আছো মন্দির, মসজিদ, গির্জা নিয়ে,
তোমার মধ্যে তুমিটা জাগাও, বিশ্ব দেখুক হকচকিয়ে।