আজ তুমি কলিঙ্গ যুদ্ধের ইতিকথা।
তোমার মনেতে ছিল,একনায়কত্বের প্রবল আকাঙক্ষা।
হৃদয়ের গহীনে জ্বেলেছিলে তাই নিদারুন অগ্নিশিখা
চোখের সামনে ভেসেছিল,শুধু জিঘাংসার রূপরেখা।
বিজয়ের উল্লাসে,রক্তে রঞ্জিত করেছিলে উপত্যকা।
কেঁদেছিল,শত সহস্র সন্তান হারা মাতা,পতিহারা বনিতা।
রক্তাভ চোখ দু'টি,উন্মাদ ছিল, ছিল হিংস্রতায়ভরা।


পরিশেষে একদিন, বসিলে গভীর ধ্যানে,
ঝাঁকিলে নিজ মনে,অনুশোচনার ক্ষণে;
ভাবিলে,এত রক্তের স্রোত বহিয়ে,কি-বা তুমি পেলে!
জ্বলিতে থাকিল হিয়া;
গভীর আত্মদহনে, বুঝেছিলে জীবনের সার কথা।
চক্রবর্তী সম্রাট, লজ্জ্বা-ঘৃণা-অপমানে;
অহরহ, হতাশা আর আত্মগ্লানিতে ডুবিয়া মরে।
অবশেষে, চির শান্তির খোঁজে, রাজপাট সব ছাড়ি,
নির্জন অরণ্যে, বোধীবৃক্ষতলে সপিল নিজেরে।
চির-প্রশান্ত, সৌম্য-শান্ত, শ্রীবুদ্ধের চরণে।