কবিতা:-ধরিত্রী মার আর্তনাদ
      মনোজ ভৌমিক


তপন তাপে তাপিত এ বসুন্ধরা,
বলছে সদা,ওরে আমায় বাঁচা তোরা।
দেহটা আমার রক্তশূন্য যে আজ,
এই বাহারি চমকে বলনা কী কাজ !!


অসহ দহনে জ্বালে রিক্ত দেহ,
আমার প্রতি আর ধ্যান রাখে না কেহ।
বৃদ্ধা আমি সইতে পারিনা এ ব্যথা,
যেন বৃদ্ধাশ্রমে লুকোনো ব্যথাকথা।


একটু তো তোরা আমার খেয়াল রাখ,
চেহারা আমার দুচক্ষু খুলে দেখ।
সময় ফুরোলে সাঙ্গ হবে এ খেলা,
প্রজন্ম তখন দেখবে কালবেলা।


আমাকে বাঁচা,এসছে চরম সময়,
অবহেলা আর করিস নারে আমায়।
আমার দিকে তাকিয়ে দেখ তোরা,
হয়েছি যে আজ দৃষ্টিশক্তি  হারা।


মমতা জড়ানো ভালোবাসা চাস যদি,
আমার খেয়াল রাখনা রে নিরবধি।
মায়ের মতন কেউ নেই এ ভূবনে,
ধরিত্রী মায়ের সেবা কর সযতনে।


সব ব্যথা কথা জমিয়ে রাখবো বুকে,
তোদেরকেই রাখা অমৃত সুধা সুখে।
আমার এ শরীর তাপিত তৃষাতুরা,
দেখ---আমায় জড়িয়ে ধরেছে জ্বরা।


এলোকেশী ঝড় ভেঙে দেয় দেহখানি,
বেশিদিন আর বাঁচবো না জানি আমি।