কবিতাঃ গণতন্ত্রই আর্কিটেক্ট (৯০০তম)
✍️ মনোজ ভৌমিক


ধর্ণা দিয়ে বসছে দেখি আমজনতার হাজার দল,
বলতে থাকে সমস্বরে তন্ত্র এখন মন্ত্রে বল!
গণতন্ত্রের মাথা মুড়িয়ে শাসক নাকি করছে ছল!
শোষণ এবং তোষণ ছাড়া প্রশাসনে অথৈ জল!!


বোঝেন যারা রয়েছে তারা আজকে দেখি বড়ই চুপ,
ঘরের মধ্যে বসেই তারা খাচ্ছে দেখি চিকেন সুপ।
ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বহুরূপ,
কেউবা হাসেন কেউবা কাঁদেন রাজতন্ত্রের নতুন রূপ।


ভোটের সময় সব রাজারি গণতন্ত্রে দৃঢ় প্রত্যয়,
গড়বে তারা নতুন দেশ দু'চোখ হবে স্বপ্নময়!
সমানতার গল্প শোনে দিন দুবেলা ঘরে ঘরে,
গরীব কেউ থাকবে না আর প্রগতির ইঁদুর দৌড়ে।


জাত ধর্মের কথাটা থাক তোমরা সবাই আমার ভাই,
রাজা কিংবা রাণী হলেও ভাবনা থাকে একটাই।
মসনদে হলেই আসীন রাজতন্ত্র ঝলসে ওঠে,
কারা কত ভোট দিয়েছেন হিসেব এখন ওদের ঘটে।


যারা ওদের ভোট দিয়েছে তারা পাবে তেলটা বেশী,
গণতন্ত্রের শেষ ভাষণে বাকীরা যাক গয়াকাশি।
শাসক জানে কোন ভাষাতে করতে হয় ওদের শাসন,
আতঙ্ক আর বারুদ গন্ধে করা হবে ওদের তোষণ।


ভাষণ শত চুলোয় যাক আমজনতার সদাই কাঁদন,
দিন বদলে আসে দিন গণতন্ত্রের একই রোদন।
শাসন-শোষণ-তোষণ হোক ভাঙুক যত ক্যাবিনেট,
তবুও আমার সোনার দেশে গণতন্ত্রই আর্কিটেক্ট।