কবিতাঃ- হে রুদ্র
        মনোজ ভৌমিক


উমপুনটা বুকের ধারে গাঁথলো মস্ত বড় ত্রিশূল!
বুঝিয়ে দিলো আয়লা ফেনীরা সময়ের বিরাট ভুল।
হয়তো একটু বেশিই ছিল সেদিনের সেই সুনামি,
ঝটিকা প্রবাহে বুঝিয়ে দিলেন উনিও যে বেশ দামি।


ঘরবাড়ি সব তছনছ হলো গাছপালা যেন সাফ!
তিলোত্তমা দুমড়ে মুচড়ে বলছে ওরে বাপরে বাপ।
কাঁদছে বসে আপনমনে,ভাবছে কোন জন্মের পাপ!
প্রশ্ন এক ঘুরছে মনে একি জন্মান্তরের অভিশাপ!!


গ্রামের চিত্র বড় বিচিত্র আজ বলবো কারে গো ভাই!
মরণ ব্যাধির আতঙ্ক ছিল মরছিলো মনে সবাই।
বাঁচার শেষ আশ্বাস টুকুও পেলো নারে আজ রেহাই,
প্রকৃতির মার শেষ করে দিলো জীবন্ত করে জবাই।


বিশ ছড়ালো বিষের বাঁশি আজকে শহরে আর গ্রামে,
মানুষ যেন খেলনা হয়েছে পিঁপড়ের মতো এ ধামে।
হে রুদ্র,তোমার রূপটা এবার শান্ত করো ওগো প্রভু,
জানি, অবোধ মানুষরা নিজেকে শুধরে নেবে না কভু।