কবিতাঃ- হোক না ও কালবৈশাখী
✍️ মনোজ ভৌমিক


জানো মা,
বৃষ্টি হীন চৈত্র বৈশাখের পর
জৈষ্ঠের প্রচন্ড দাবদাহে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত
তখন এখানকার আবহাওয়া দপ্তর ঘোষণা করলো
আগামী চার পাঁচ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শুনে মনটা ভীষণ স্বস্তির শ্বাস নিল।
হোক না সেই প্রলয়ঙ্কর কালবৈশাখী
তৃষিত মৃত্তিকার বুকে সিঞ্চিত হোক রসস্ফীতি।
জানো মা, বিগত দুই বছরে এখানে
কালবৈশাখী ও শুরু হয়েছিল।
ঘন ঘন বজ্রপাত আর দমকা দেওয়া
ঝোড়ো হাওয়া উঠলেই
ওখানকার কথা খুব মনে পড়তো।
মনে পড়তো তোমার কথা।
আঙিনায় সিঁদুরে আমের গাছটা খুব দোলা খেতো!
আর টালির চালের উপর ঠক্ ঠাক্ আওয়াজ করে আমগুলি
যখন দুয়ারের কাছাকাছি গড়িয়ে আসতো
কুড়তে কুড়তে বিজলীর চমক দেখেই
তোমার কোলে এসে মুখ লুকোতাম।
তুমি আমাকে দধীচি মুনির গল্প শোনাতে।
জানো মা, এখন এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা
ঝোড়ো হাওয়া বয়,
রুক্ষ জীর্ণ ঘাসেদের বুক ধুলোয় ঢেকে যায়!
গুল্মলতাগুলোরও চোখ ঢাকে!!
বড় বড় গাছ গুলো হা-পিত্যেশে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে....
সবারই আজ জল চাই....জল...
আকাশ থেকে ঝরে পড়া বৃষ্টির জল।
ও ছাড়া প্রকৃতি ও মানুষ যেন আজ নিষ্ফল।
হোক না ও ভয়ঙ্কর কালবৈশাখী....
সৃষ্টির মাঝে জীবন থাকবে না উদাসী।