কবিতা:- হুইল চেয়ার বিজ্ঞানী
কবি:- মনোজ ভৌমিক


ভালোদের জন্য পৃথিবীটা সকাল সময় বড়ই সমস্যা সঙ্কুল
আমি বলছি না,বলছে যে ইতিহাস,যা সম্পূর্ণ নির্ভুল।
বিজ্ঞান গবেষক ছিলেন তার পিতা,রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন মা
গ্যালিলিওর তিনশততম মৃত্যুতে,জন্ম নিলেন বিজ্ঞান পুরোধা।
পিতার ইচ্ছা ছেলে ডাক্তার, ছেলের চাই গণিত বিজ্ঞান
অক্সফোর্ডেতে ছিল না গণিত, নিতে হল তাকে পদার্থবিজ্ঞান।
ভালো ছাত্র ছিলেন না মোটেই, বিজ্ঞান-গণিতে ভালোই জ্ঞান
প্রেরণা দিয়ে কলেজে ডাকত সবাই,"আইনস্টাইন"নামে দিত মান।
নি:সঙ্গতা কাটাতে গিয়ে,কলেজ বোট রেসিং -এ নামটি সংযোগ,
জনপ্রিয়তার সিঁড়ি চড়েতে চড়তে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়েতে দিলেন যোগ।
আর্থিক সঙ্কটে ভাঙা স্বপ্ন,কোনোক্রমে স্কলারশিপটাই বাঁচালো
পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে,বিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণায় ভর্তি হলো।
গবেষণার জন্য "মহাজাগতিক তত্ত্বটি" নিলেন তিনি বেছে,
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকবাদে,গণিতে দূর্বলতাও দেখেছে।
সমস্যগুলি যখন আসে,দেখেনা তারা আগে পিছনে চেয়ে,
স্নায়ুরোগের অসুখটা তাকে,দিলো হুইল চেয়ারে বসিয়ে।
দু:খ-ভারাক্রান্ত স্টিফেন,জীবনের সকল আশা দিলেন ছেড়ে,
স্ত্রী জেন উইলডন দাঁড়ালেন পাশে,গভীর আশ্বসে ভর দিয়ে।
না পাওয়ার মধ্যে চাওয়া যে ছিল,অসীম দৃঢ়তা ছিল মনে
লন্ডনের রয়েল সোসাইটিটা,তরুণ গবষকের নামটি নিলো গুনে।
হঠাৎ করে গবেষণাতে দেখালেন তিনি মহাজাগতিক তথ্য,
তেইশ বছরে বয়সেই,পি এইচ ডিতে কাঁপিয়ে দিলেন বিশ্ব।
দু'টি বইতে জানালেন তিনি,গবেষণাগত "কৃষ্ণ গহ্বর" তত্ত্ব
নোবেল প্রাইজ না পেলেও আজ তিনি বিজ্ঞানী বিশ্ব বিখ্যাত।
আইনস্টাইনের জন্ম দিনে বয়স ছিয়াত্তরে নিলেন মহাপরিনির্বাণ
মরেও তিনি দিলেন প্রমান, জন্ম-মৃত্যুতে অক্ষত রইলো যে বিজ্ঞান।