কবিতাঃ- কামিনী রোদ
✍️ মনোজ ভৌমিক


জানো অনিন্দিতা,
আমি এখন হেমন্তের শিশির ভেজা ঘাসের উপর দিয়ে হাঁটছি...
কুঁয়াশা ভেদ করে কামিনী রোদ
আমার পা দুটোয় চুমু খেতে খেতে শরীর ছুঁতে চাইছে!
আমি বার বার চশমার কাঁচ মুছতে মুছতে
পার্কের ঈশান কোণের বহু চর্চিত চেয়ারটার কাছে থমকে দাঁড়িয়েছি।
ভাঙাচোরা চেয়ারটা কুঁয়াশার জলে ভিজে কেমন সপসপ করছে।
তুমি চলে যাওয়ার পর আমি ছাড়া মনে হয় আর কেউ বসে না!
কতগুলো বছর আমরা একসাথে বসেছি ওই চেয়ারে!
কত রঙিন মুহুর্তের সাক্ষী এই চেয়ারটা!!
সেদিন সকালে যখন শেষ বারের মত আমায় ছুঁয়ে বসেছিলে,
সেটা ছিল বসন্ত শেষের অন্তিম সূর্যোদয়!
তুমি আমাকে আদর দিয়ে বলেছিলে,আমি চলে গেলেও
তুমি আমার অস্তিত্ব উপলব্ধি করতে পারবে,
যখন আমি প্রতি প্রত্যুষে কামিনী রোদ হয়ে তোমায় চুমতে থাকবো....
আজ এখন এই পার্কে আর সে ভিড় নেই,
পাখিরা আর আনন্দ বিহ্বল শব্দে কিচিরমিচির আওয়াজ করে না!
ওরা কেউ আর তেমন দৃষ্টি নিয়ে এদিকে তাকায় না!!
শুধু ঐ কামিনী রোদ ছোঁয়ার জন্য ভেজা ঘাসের সিক্ততা মাখছি অনিন্দিতা....