দুঃখের নদীতে স্নান করতে করতে
সুখের সমুদ্রের মোহনার কাছে ভেসে এলাম।
সমুদ্র বলল,''দূরে থাক। দূরে থাক।
দুঃখের ঘোলা জল লাগাস না আমার গায়ে।"
অতর্কিতে দুটি বিপরীত মুখী স্রোত
একত্রিত না হওয়ার প্রচন্ড অনিচ্ছাতে
মোহনাতে শাঁই শাঁই করে ঘূর্ণায়মান লাট্টুর মতন
ঘোরাতে থাকলো আমাকে।
আমি হারিয়ে যেতে থাকলাম...
আমি তলিয়ে যেতে থাকলাম...
সুখ দুঃখ ইচ্ছা অনিচ্ছার অতলান্তে।
সেখানে দেখতে পেলাম--
জাগতিক যোগ-বিয়োগের হিসাব নিকাশ
চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল--
রিক্ত জীর্ণ সাংসারিক বৈচিত্রতার...মহাসংগ্রাম।
সমস্ত কিছু নিশ্চিহ্ন হতে চলেছিল
এক প্রগতিশীল, গতিহীন ... মহাশূন্য।