কবিতা:-মৃত্যু ঘুড়ি
কবি:- মনোজ ভৌমিক


জীবন যখন এগিয়ে চলে একটু একটু করে,
মৃত্যুও চলে ছায়াপথে জীবের হাতটি ধরে।
খুশীর দিনে হাসির আওয়াজ যখন শুনি ওরে
অলক্ষ্যেতে মুখ লুকিয়ে,যেন মৃত্যু খেলা করে।


ঐ খানেতে আজ পিঠেপুলীর আনন্দ উৎসব
এইখানেতে ঘুড়ি উড়ানোয় পাগল তখন সব।
মানুষগুলো দেখি আজকে নিত্য নতুন সাজে,
রঙ বে রঙের চশমা চোখে,টুপী মাথায় রাখে।


ডিজের তালে কোমর নাচায়,গুড়ের চিকি মুখে,
সূর্য যেন দাঁত ঠিকরে ঠোঁটের 'পরে হাসে।
ছাদে-রাস্তায় ভীষণ সোর,"কে কাটলো কার ঘুড়ি?"
ভিখারিনী মেয়ে দৌড়ে কুড়ায়,জমা করে সবগুলি।


হঠাৎ দেখি গাছের 'পরে আটকে কাটা ঘুড়ি,
হতভাগী মেয়ে উঠলো গাছে,ঘুড়ি বেচা মজবুরী।
ইলেক্ট্রিক তারে পড়লো হঠাৎ লোহার ডান্ডা তার,
ধড়াস করে পড়লো নীচে,জীবন গেলো কার?


বলতে পারো,এমন খেলা কেন খেলে গো লোকে?
যে খেলাতে পাখি সহ মানুষ থাকে দুর্বিপাকে?
এমনি কতো আজীব খেলা,খেলে আজকে লোকে
কে মরলো! কে বাঁচলো! কী ফারাক পড়ে তাতে?


বলতে পারো, ঐ মেয়েটার মরার দায় কে নেবে?
ভিখারি মেয়ে,তাই তো সবাই মুখ ফিরিয়েই রবে।



বিঃদ্রঃ- গুজরাতের "কাইট ফেস্টিভেলের" একটি দৃশ্যকে নিয়ে লেখা।