অদ্ভুত এক ঝট পট শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল
চোখ রোগড়ে দেখি,পাশে তুমি নেই
শিউরে উঠেছিল শরীরটা
ভয়ে ভয়ে আলতভাবে জানালা খুলে দেখি-
নিশুতি রাত! হিমেল হাওয়া
দূর আকাশের তারাদের মিটমিটানি
তার উপর ঘরের সামনের ষ্ট্রিট লাইটটা ক'দিন থেকে বন্ধ।
মনের কোনে কেমন যেন নিরাশাময় আশঙ্কা,
নিঃশব্দ রাত্রিতে শব্দের অনুসন্ধানে কান পাতলাম।
বুঝলাম, ছাদের চিলকোঠার থেকে শব্দটা ভেসে আসছিল
মায়াবী রাতের সমস্ত আবরণ খুলে দিয়েছিল শব্দটা।
সাহস করে, নিঃশব্দে পা টিপে টিপে এগিয়ে গিয়ে দেখি,
অবাক কান্ড!... একটা পায়রা!
চিল কোঠার জিরো লাইটের উপর
বসবার অসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছিল
আস্বস্থ হয়ে, ভোরের আমেজটা নিয়ে
সকালে ঘুম ভেঙ্গে উঠে দেখি--
পায়রাটা নেই।
ভাবতে বসলাম রাত্রিটা স্বপ্ন ছিল না সত্যি!
মনের মধ্য তাল গোল পাকতে থাকল
দিন কেটে গিয়ে সন্ধ্যা গড়িয়ে এল
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালতে গিয়ে দেখি... সেই পায়রাটা!
স্বস্থিতে জিরো লাইটের হোল্ডারের উপর বসে আছে।
চোখ দুটির মধ্যে অদ্ভুত খোঁজ আর জিজ্ঞাসা রয়েছে তার
কিছু বলতে চায় সে...
তারপর ফ্যাল ফ্যল করে আমার পাণে তাকিয়ে থাকে সে।
পড়শী ও আত্মীয় পরিজনদের ডেকে বললাম,
"দ্যখো, আমার ঘরে পায়রা এসেছে।"
সবাই এক বাক্যে বলল,"সুখের পায়রা"
তারপর থেকে পায়রাটা সন্ধ্যায় আসে
আর কাকভোরে চলে যায়।
"সুখ!" ভালো থাকা খাওয়াটা যদি সুখ হয়
সেটা তো কালও ছিল, আজও আছে।
তাহলে কি ও আমার রাতের নিঃসঙ্গতার সাথী!
না ও দল ছাড়া, সাথী হারা, আর এক জন!
না ও পৃথিবীর সব দুখ রাতের অন্ধকারে-
আমার সাথে ভাগ করে নিতে চায়!
নয়তো বা সুখের প্রহরী হয়ে
রাতের অন্ধকার চিরে দিনের সূর্য্য এনে দিতে চায় ও।
কি জানি! তবু ও আমার 'সুখের পায়রা'।