ভলোলাগে তাই একসঙ্গে পথ চলি।
ভালোলাগে তাই তোমার সঙ্গে কথা বলি।
ভালোলাগে তাই তোমার দিকে তাকিয়ে থাকি।
ভালোলাগে তাই তোমার ছবি আঁকি।
ভালোলাগে তাই তোমায় বন্ধু ভাবি।
ভালোলাগে তাই তোমায় নিয়ে কবিতা লিখি।
বলো তো,এই ভালোলাগা আসলে কি?
কোথা থেকে এল এই ভালোলাগা?
সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে
চলে আসছে এই ভালোলাগা কথাটি।
ক্ষণিকের এই ভালোলাগা
তৈরি করেছে কত ইতিহাস!
ভালোলাগা মানসিক বিকৃতি নয়।
ভালোলাগা জন্ম দেয় সুন্দরতার।
আবার এই ভালোলাগা কখনও বিদ্রোহী-আত্মকেন্দ্রিক।
নিজকে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার ক'রে দেয়।
ক্ষণিকের এই ভালোলাগা থেকে জন্ম নেয়
অপরিসীম শ্রদ্ধা,ভক্তি,আন্তরিকতা ও ভালোবাসা।
যদি ভালোলাগা না থাকত
তাহলে ফুল শুধু 'ফুল' হয়েই থাকত।
হতো না গোলাপ চম্পা চামেলী।
পৃথিবী কেবলই এক গোলাকার বস্তু হয়েই রয়ে যেত।
কবির কল্পনায় প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধ
পেত না কেউ কোনো দিনও।
চাঁদ তাঁরাদের মধ্যে সুন্দরতার প্রকাশ
দেখত না কেউ কোনো রাতে জেনো।
ভালোলাগা শাশ্বত, চিরন্তন।
ভালোলাগা বেঁচে থাক হৃদয়ে- অনন্ত সময়।