কবিতা:- প্রজন্মের কবি
কবি:- মনোজ ভৌমিক


শরৎচন্দ্র হতে চায়নি ও!
কারণ,আজকাল মাটিতে, মাটির গন্ধ অনেক কম।
বঙ্কিমবাবুর "বিষবৃক্ষতেও" মাথা ঘামায়নি ও!
কারণ ওখানে শব্দ ও ভাবের গভীর সংযম।
রবীন্দ্রনাথের পথ ধরেও হাঁটতে চেয়েছিল সে,
কিন্তু রবীন্দ্রপ্রেমের তত্ত্ব সমুদ্রে ডুব দিতে ভয় হচ্ছিল!
নজরুলের চোখ,বার বার উঁকি মারছিল ওকে!
মধুসূদনের মত উচ্চাকাঙ্ক্ষী হতে চায় নি ও!
পাশ কাটিয়ে নিজকে একবার দেখলো।
সুকান্তের মনটা ওর হৃদয় সমুদ্রে
অনেকবার সাঁতার কেটেছিলো,
"একটা নতুন দিন! একটা নতুন সকাল!"
জানেন, ভাবনাটা হঠাৎ মরে গেলো!


জীবনানন্দের হাত ধরে দাঁড়াতে চেয়েছিল ও!
উনি " ধ্যাৎ" বলেই হাতটা ছাড়িয়ে নিলেন।
এবার আর কি!
নীরেনবাবুর "উলঙ্গ রাজাতে" বার বার চোখ রাখে।
অবশেষে,সুনীলবাবু,জয়বাবু,শঙ্খ বাবু আর
নির্মলেন্দু গুনের পাতায় হা- পিত্যেশ করতে থাকে।
শ্রীজাতদার বিতর্কিত ত্রিশুলে হাত না রেখেই
নিজের মনে হাঁটতে থাকে।


হঠাৎ একটা অমাবস্যাছাদিত সকাল নেমে এল!
সবাই বলল," ই---স! আজ নতুন বছরের শুরুটাই...."
ও হেঁসে বলল,"এতে আর ভয় কি!
মড়া দেখে যাত্রা শুরু করলে নাকি দিন শুভ হয়!
কায়ার সঙ্গে ছায়া তো থাকেই,
আজ না হয় ছায়ার সঙ্গে কায়া।"
ঐ তো নতুন কবি! এক নতুন ভাবনা,
নতুন কথা আর আধমরা নতুন হাঁসি নিয়ে দাঁড়িয়ে!
বছরের নতুন দিনে,ওর চোখেই যাই  হারিয়!
শুভহোক নতুন বছর।