কবিতা:- ভ্যালেন্টাইন প্রেমের স্বার্থকতা
কবি:- মনোজ ভৌমিক


কৈশোরটা প্রশ্ন করে আজ নিজের মনেই দেখি,
বলছে হেসে একটু বসে মনের মধ্যে হচ্ছেটা বা কি!


সরস্বতীতে মনকাড়া সেই হলুদ গাঁদা ফুল,
কানের নীচে দুলছিল তার ঝুমকো লতা দুল।


বাসন্তী রঙে উড়িয়ে নিল তার খোলা চুলটি ওরে,
সেদিন থেকেই ভাবছিল সে প্রোপজ করবে তারে।


হঠাৎ করে সবার ফাঁকে একটি গোলাপ দিল,
চকলেটেতে মন ভরালো মুচকি হাসি নিল।


চললো তখন দেওয়া নেওয়া টেডিতে মন ভোলা,
আলিঙ্গন আর কিসে-এর দিনে হৃদয়ে প্রেমের দোলা।


ভ্যালেন্টাইন ডের প্রকৃত ইতিহাস যদি শোনো ভাই,
ভাববে তোমরা রোম সম্রাট  ছিলেন এক কষাই।


অন্ধ মেয়েরে ভালোবেসে আলোযে দিয়েছিল চোখে,
ঈর্ষান্বিত সম্রাট তারে ফাঁসিতে দিল লটকে।


দিনটা ছিল ফেব্রুয়ারির চোদ্দ,২৬৯ খ্রিষ্টাব্দ,
ঘটনাটা ঢাকা ছিল ১২৫ বছর পর্যন্ত।


তৎকালীন পাদ্রী এক পড়লেন ভ্যালেন্টাইনের কথা,
হঠাৎ করে পেলেন তিনি মনে অনেক গভীর ব্যথা।


প্রেমের জন্য পেয়েছিলেন তিনি এত কঠিনতম সাজা!
ঐ প্রেমেকে রাখতেই হবে সারা বিশ্বে তরতাজা।


প্রেমিকরা যদি ঐ দিনেতে লাল গোলাপে করে প্রেমের ইজাহার,
ভ্যালেন্টাইন প্রেমের স্বার্থকতা তবেই হবে ভাই সাকার।


সেই থেকেই প্রচলিত এই বিশ্বে লাল গোলাপ দানের রেস,
আমার দেশের প্রেমিকরা সব সেই প্রথাটি মেনে নিল বেশ।


ফাগুন প্রেমের ইতিহাসে ভ্যালেন্টাইন হলেন মহান,
সেই প্রেমের স্বার্থকতা আজ লাল গোলাপেতে মহীয়ান।