জীবনের মধ্যান্নে এসে দাঁড়াই,
শরীর আর আগের মত চলে না ভাই।
হাড়ে পড়ে ভার, চোখে ঝাপসা দিন,
প্রতিটা নিশ্বাস যেন বোঝার গহীন।
চাই ছিল ধর্মে ডুব দিই কখনো,
কিন্তু পকেট ফাঁকা, মনেও হাহাকার তো।
মসজিদে ডাক শোনি, যেতে মন চায়,
তবুও হাঁটি বাজারের পানে—পেট আগে খায়।
সন্তানদের চোখে দেখি স্বপ্নের দাবী,
পাঠশালার পথ যেন কাঁটায় ভরা অভিশাপী।
শিক্ষার আলো দূরের তারা হয়ে যায়,
আমি শুধু ভাবি, কবে আলোর ধারা আসবে এই হায়!
প্রতিষ্ঠান বলে কিছু নেই চার পাশে,
ধর্মীয় কি সামাজিক, সবই যেন মিছে।
শুধু নামে কাজ চলে, মুখোশে মুখ,
ভিতরে অন্ধকার, নীতিহীন সুখ।
ধর্মের নামে অধর্ম বাজায় ঢোল,
ভণ্ডের ভিড়ে হারিয়ে যায় সৎ লোকের কোল।
পবিত্রতা যেন এখন গল্পের বই,
চেনা মানুষ অচেনা, হৃদয়ে নেই কেউই।
তবু হাল ছাড়ি না, বুকের ভিতর আশা,
আলোর এক কণা খুঁজি এই ধূলোমাখা ভাষা।
যদি একদিন ফিরে আসে সত্যের গান,
মানবতা আবার গড়বে নতুন দিন-যান।