শেষ বিকেলে পরন্ত বেলায়, বসে বটমূলে নির্জ্জনে একেলায়
দেখিতে গোধূলী- রাখালের গো-দৌড়, মিষ্টি আলো হালকা আবছায়।
আনমনে তাকিয়েই, মনে রং মাখিয়েই চেয়ে গো-চারণ পানে
হর্ষচিত্তের আকুলীর আভা বিছালাম সবখানে।
হঠাৎ দেখিলাম ! একি দেখিলাম! মৃদু আলোর ছায়?
চঞ্চলা রমনীর লাল চিবুকখানি সূর্য্যের লাল আভায়।
ঘুরালো মুখ উড়ায়ে কেশ না হেরিতেই মুখখানি
বিলীন হইয়া সে মাটিতে পুতিলো মোর হৃদয়ের সুখখানি।
অস্থির মন আমার রয়না ঘরে আর না হেরিতে পারিয়া তারে
দেখিতে একটিবার ছুটে যায় বারেবার-বটছায় গোধূলী পাড়ে।
বিষন্ন মন খোজে সারাক্ষণ দেখিবারে একবার
শান্ত করিতে চিত্তখানী  মিটাতে হাহাকার।
এমনি একদিন স্বপনের ঘোরে স্বপনে দেখিলাম তারে
হলুদ বসনে লুকাইতে লজ্জারাঙা মুখ- ঢাকিছে বারে বারে।
ছলছল নয়নে কাঁদোকন্ঠে অনুনয়ে বলিলাম শোন !
চোখ মুদিতেই উড়িলো- নীল ধোয়া বনিয়া যেন।
কাঁদিয়া উঠিলাম স্বপ্নের মাঝেই- ছাড়িয়া দিয়া হাল
জোড়া বুঝি লাগিবেনা আর ভাঙ্গা এ কপাল।
চকিত নয়নে একি হেরি আমি!তাকাইয়া শিয়র পানে
বুলাইতেছে চুল মুচকি হাসিয়া মোর মস্তক রাখি তার রানে।
কে তুমি! ওগো মায়াবিনী? গোলাপ নাকি জবা?
হাসিয়া কহে চেননি মোরে? আমি তব গোধূলী পাড়ের রুপা।
   26/01/2015                 (কাল্পনিক)