দুপুরবেলার নিরবতা আর নির্জনতায় ছেয়ে আছে চারপাশ
টিভি আর গানের শব্দ দুই একটি বাড়িতে,
পাঁচ বছরের নুড়ির তখন বেশ ভয় লাগে
মা বাবার সাজানো এ টিনের ফুলদানিতে।


আলু ভাজি কিংবা ডাল ভর্তা
সাথে একাকীত্বে পুষ্ট শৈশবের নিদারুন বাস্তবতা,
তাড়াতাড়ি উদরের সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে
নড়বড়ে খাটের বুকে শুয়ে খোঁজে স্বপ্নের সজীবতা।


বয়সের বিষে পাকা নানীর স্নেহ মনে পড়ে
মনে পড়ে চাচাত বোন দের সাথে অবিরত অকারনের কোলাহল,
চোখের কোনায় লোভের জল চিকচিক করে ওঠে
ঘামজীবি মা বাবার বিরুদ্ধে নামে অব্যক্ত অভিযোগের ঢল।


দিনের বেলা অজানা শঙ্কায়  
দরজাটা কখনও বন্ধ করেনা ঘুমায়না নুড়ি,
মা বলে ভয় কিসের সোনা, ভয় নেই
মনে মনে মা বলে তুই যে এখনও ফুলের কুঁড়ি।


দারুন ভয়ংকর এক স্বপ্ন দেখছে সে আজ নিদ্রায়
মুখে বালিশ, হাতে পায়ে কাল সাপের থাবা,
স্বপ্ন রক্তাক্ত মরিচীকা হয় যখন বুঝতে পারে এটা বাস্তবতা
ক্ষুদ্র শরীরের অপক্ক  ভাঁজ যখন বলে ওঠে, কি ব্যথা! কি ব্যথা!


পত্রিকার পাতায় খোঁজ মেলে নুড়ির এক চিলতে জায়গায়
আমরা সবাই বন্দী দামি পোষাক অার স্মার্ট ফোনের জমানায়,
তাদের কষ্টের জায়গা হয়না কোন মনের যাদুঘরে
তবে কেন বারবার নিয়তির দাবায় নুড়িদের চোখের জল পড়ে ?


---সমাপ্ত---


পাদটীকা: যেসব শৈশব কন্যারা অকালে নরপশু দ্বারা রক্তাক্ত হয় তাদের প্রতি সমবেদনা রইল। আজকের পত্রিকায়ও একটি খবর ছাপা হয়েছে এ ব্যাপারে।