মাঝে মাঝে বেপরোয়া ইচ্ছে হয় তোমাকে দেখার,
এছাড়া বিশেষ কোন সমস্যা হয়না।
জোনাকিপোকা এখানে দেখা যায়না,
যদি ভুলে কখনো দেখে ফেলি, একটু ঝলক কেটে যায় আমাদের জোনাক বাগানের গল্প।
পাহাড়ে বিশেষ যাওয়া হয় না।
কালে ভদ্রে একবারের জন্য গেলে, পাহাড়ের ঢালের বাড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকি।
মনকেও বুঝতে দেইনা আমাদের বাড়ি হবার কথা ছিলো সেথায়।
মনটা বোকাতো আমার চালাকি ধরতে পারেনা।


যে গাছটার নিচে আমাদের প্রথম প্রেমের অগণিত সময় কেটেছে,
প্রতিবার দেখতে যাই, গাছটা ভালো আছেতো।
এছাড়া তেমন কিছুই ভাবি না।
একটা গাছ-ই তো!


পার্ক এর যে বেঞ্চিটায় প্রথম চুমু খেয়েছিলে,
লুকিয়ে দেখে এসেছি সেখানটায় প্রতিদিনই নতুন কোন জুটি চুমু খায়।
আমার লজ্জা-ই লাগে, আবার চোখটাও ফেরাতে পারিনা-
সেখানটায় আমাদেরকে কল্পনা করি।
তুমি ভাবছো তোমার কথা মনে করে যাই,
আরে না পাগলি,
ভুরিটা বেড়েছেতো তাই হাটার অভ্যাস করছি।


চাঁদ উঠলে একদম-ই ভাবতে ইচ্ছে করেনা,
আমরা দুই বারান্দায় মুঠোফোনে সারারাত কথা বলতাম চাঁদ কে সাক্ষী রেখে।
আমি না ভাবতে চাইলেও, চাঁদ জিজ্ঞেস করে,
"কি হে! কেমন আছো?"
আমি সোজাসাপ্টা সবাইকে যা বলি তাই বলে দেই, "দিব্যি ভালো আছি।"
হাসিটা খুব রপ্ত করেছি।
তুমিও বুঝতে পারবেনা, ওপারে আমি নেই।


বৃষ্টি তোমার আমার এতো এতো পছন্দ।
কতোবার যে তুমি আমি ভিজেছি তার হিসেব নেই!
প্রতিবার-ই আমার সর্দি-জ্বর লেগে যেতো।
কিন্তু তুমি কখনো আমাকে বাধা দিতেনা।
তুমি আকাশ খুব ভালোবাসতে,
আকাশে সাদা মেঘ দেখলেই উদাস হতে।
আমি আজো তার রহস্য বুঝিনা।
কিছু রহস্য থাকাই আনন্দ।


যতবার আমার বুকে মাথা রাখতে, কেঁদে দিতে।
ছেড়ে যাবোনা হাজার বার বললেও মানতে না।
তোমার কাজল দেয়া চোখ থেকে অশ্রু শুষে নিলেই শুধু থামতে।


সকাল বেলা তোমাকে দেখে দিন শুরু করার অভ্যাস হয়ে গেছে।
আগে পেতাম প্রতিদিন নতুন ছবি আর এখন আগের ছবি গুলোই।
কে পরে ঘুমাবে তার প্রতিযোগিতায় আমি-ই হারতাম।
সব হারে ব্যাথা নেই।


এইগুলো বলছি বলে ভাবছো আমি তোমাকে মনে করে বসে আছি?
বয়েই গেছে আমার।
তোমাকে ঘৃণা করার সবচেয়ে বেশি অধিকার ও কারণ একমাত্র আমার-ই আছে।
ভালোবাসারও সবচেয়ে বেশি দাবিদার।
কোনটা আমি বেছে নেবো সেটা আমার সিদ্ধান্ত।
শুধু একটা সিদ্ধান্তে আমি স্বাধীন।