এমন বিকালটার কথা মনে পড়ে?
কাশফুল বনে হারিয়ে গিয়েছিলে, কয়েক সেকেন্ড আমাকে না দেখে অস্থির হয়ে পড়েছিলে।
কাশফুল জড়িয়ে ধরে বলেছিলে, ভালোবাসি তোমায় পবিত্র সাদার মতো।
আমি বলেছিলাম, আমি তোমাকে উদ্ভ্রান্তের মতো ভালোবাসি। তুমি কাছে থাকলেও অস্থির লাগে, তুমি দূরে গেলেতো সীমানাই ছাড়ায়।
শুনে প্রথমবার বলেছিলে, পাগল!
আমি বলেছিলাম, তোমার স্পর্শে আমার উন্মাদনা জাগে, তোমার বিচ্ছেদেও উন্মাদনা হয় দ্বিগুণ।
দ্বিতীয়বার বলেছিলে, পাগল!
তোমার শরীরের সুবাসে হিংস্র হই আবার তোমার বুকেই হই শান্ত। সুবোধ শিশুর মতো মুখ গুজে সুবাস নেই শরীর ভরে।
তৃতীয় বারও বলেছিলে, পাগল!
আচ্ছা তুমি কি আর কিছু বলতে পারোনা।
শুনে বলেছিলে, তোমার কাছে আসলেই আমি স্থবির হয়ে যাই। অথচ বুকে আমার অফুরন্ত কথা। এটা বলবো, ঐটা বলবো। তোমাকে নিয়ে সারারাত জেগে জমানো ভাবনাগুলো বলবো। সবচেয়ে বেশি স্থবির হই তুমি বুকে এলে। আমি একেবারেই ফুরিয়ে যাই।


অযথাই এক ফোঁটা জল আমার ঠোঁটে এসে পড়ে, আমি শুষে নেই।
নোনতা চোখের জলটাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুধা হয়ে যায়।
আমাকে নিয়ে ফেলা পৃথিবীর প্রথম চোখের জল।
আজীবন এই জল ধরে রাখা যাবেনা তাই শরীরেই মিশিয়ে দিলাম।


মনে আছে! সবচেয়ে লম্বা গাছটার নিচে বসে বলেছিলাম, আমার সুন্দর কিছু দেখলেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।
তুমি অবাক হবার ভান করে সব সময়ের মতোই বলেছিলে, খেয়ে ফেলো!
ডুব দিয়েছিলাম দু'জন শ্রেষ্ঠ চুম্বনের স্রোতে।


১৪ আশ্বিন, ১৪২৫ বাংলা