~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~
রাত দুপুরে গলির মোড়ে পৌঁছে সেদিন দেখি
ঘুমিয়ে কাদা আমার শহর; অন্যরকম একি!
ব্যস্ততা নেই একটু কোথাও, ক্লান্ত রাতের পাখি-
পারলে একে মাথায় তুলি, বক্ষে ধরে রাখি।
সারি সারি অট্টালিকা- দাঁড়িয়ে একা একা
কুজ্ঝটিকা মুখ ঢেকে দেয়, নেই জন প্রাণীর দেখা।  


বিক্ষত ভার পদক্ষেপে এগোই ঘরের পানে
পেছন হতে হঠাৎ যেন- ধরল কে যে টেনে!
তাকিয়ে দেখি পেছনেতে- কেউ কোত্থাও নেই
ঘেয়ো কুকুর কাঁদছে বসে, খাঁকরি গলা দেই।
একটু দূরে ঘুপচি করে ময়লা ফেলার বিন
নাছোড়বান্দা মাছি গুলো করছে যে ভীন ভীন।


এত্ত আমার চেনা গলি, আজ অচেনা লাগে!
দু একটা পা এগোই ধীরে, বুকে কাঁপন জাগে।
এমন কেন হচ্ছে মনে! রাত্রি অনেক গভীর-
বাতাসও ঠিক বইছে না আজ, চিত্ত বড়ই অধীর।
একটু দূরে কেউ যেন এক জ্বাললো ম্যাচের আলো
মনের ভেতর সাহস এলো- এবার সবই ভালো।


হঠাৎ করে আবার দেখি- চতুর্দিকেই কালো
আলতো সে এক বাতাস এসে নিভিয়ে দিলো আলো!
কোমল স্বরে বলল যে কেউ- কেমন আছেন? ভালো?
নিবিড় আঁধার নিকষ হলো- ঠিক দেখি না মুখ
তবুও তো কেউ সঙ্গে আছে, এতেই অনেক সুখ।
হেসে বললাম- হ্যাঁ ভালো, আপনি আছেন কেমন?
সে বলল- যেমন ছিলাম- এখনও আছি তেমন।


এমনি করেই অনেকটা ক্ষন কথার পিঠে কথা
মন্দ-ভালো সুখ-দুঃখ গল্প, অল্প কিছু ব্যথা।
পেরিয়ে এলাম অনেকটা পথ; ওইতো ঘরের দোর-
আলতো টোকা পড়লো পিঠে ভাঙলো তবে ঘোর।
অনেকটা পথ সঙ্গ দিলাম; এবার তবে যাই -
পেছন ফিরে তাকিয়ে দেখি- কেউ তো কোথাও নাই!


এদিক ওদিক তাকিয়ে শেষে দরজা খুলি- খাঁ খাঁ
অদ্ভুতুড়ে আলোয় ভরে ঘরের ভেতর এক্কেবারে ফাঁকা!
চেঁচিয়ে ডাকি- কেউ কি আছো? একটু দিও সাড়া-
প্রতিদ্ধনী ফিরে এলো- নেই কারোও কোন তাড়া।
গুমরে ভাবি- মনের মাঝে ভাবনা এলো এই
আশঙ্কা কি সত্যি তবে! আমিও কোথাও নেই!!
~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~