আমার কবি অল্প নামি
               কল্প লোকেই থাকে।  
খেরোর খাতায় কলম চালায়  
               সবই লিখে রাখে।


ছোট্ট ছড়া লিখতে দড়
                ছন্দ অন্ত মিলে
ছড়ার ভেতর চিত্রকল্প
                মন মাধুরী ঢেলে।


এমনি তিনি মানুষ ভালোই
                ঝগড়া করেন না
মুখোশ ধারির আসন টেনেই  
               লিখছে কাব্য নানা।


নিত্য লেখেন আমার কবি
                 বিত্ত ভাবনা ছেড়ে
স্বৈরাচারীর মুখোশ সবই
                দিচ্ছে তিনি ফেড়ে।


এই অভাগা মৃত্যু দেশে
              বাক নিয়েছে কেড়ে
কবির কলম বিঁধছে তাদের
             দিচ্ছে না তো ছেড়ে


স্বভাব কবি সাচ্চা মানুষ
              কলম ফান্দে ফেলে
ঝকমকে যেই উড়ছে ফানুস
            অমনি দিলেন গেলে!!


অল্প কথায় গল্প লিখে
               লজ্জা দিলেন প্রিয়-
লজ্জা হীনা বাড়ছে দেখে
                চক্ষু মুদে স্বীয়।


ভাবতে ছিলেন চক্ষু বুজে
              এবার কি বা লেখেন!
হুড়মুড়িয়ে ছাওয়াল ছেলে
             কড়কড়িয়ে ডাকেন!


দরজা এঁটে বুকটা চেপে
             কাঁপতে থাকেন কবি
পুলিশ মন্ত্রী নির্দেশনায়
             দেখতে থাকে সবই।


ছুঁচোবাজি চলছে শুধুই
               গন্ধ মেলে ঘ্রাণে
ভয়ের চোটে মরছে কবি
               বন্ধ দিলেন প্রাণে।      


আমি পাঠক লুকিয়ে থাকি
              যায়না আমায় দেখা
আমায় সজাগ করতে তো ওই
               বিরূপ কাব্য লেখা।


ভাবছি তাঁকে দেখতে পেলে
               উপায় দেব বলে
ছদ্ম নামে লিখতে থাকুন
              ব্যাঙ্গ সবই ঢেলে।


মন্দ দেখেন! ভালোই তো তায়
              সন্দ কেন রাখেন?
গোলোক ধাঁধায় আলোক ফেলে
              বাজিয়ে তাকে দেখেন।


রঙ্গ সুখে থাকেন কবি
                ব্যাঙ্গ খুঁজে পেলে
আগুন আগুন বাক্য ভাবে
               কাব্য লিখে দিলে।  


উল্টা সোজা পাল্টা দিলেই
               হচ্ছে কুপোকাত-
বয়স যত বাড়ছে ততই
               লেখায় কিস্তিমাৎ!