হাবুর দাদুর বাতের ব্যথা হাঁটত লাঠির জোরে।      
বে-পাড়াতে গিয়েই কাবু! পড়ল বেজায় ঘোরে।
ছোটন বাবুর ছোট্ট ছেলে
টলবলে সাইকেলে -
এক গুঁতোতে পড়ল ভূঞে হাড্ডি গেল সরে!


হেঁই বাবারে মরেই গেলাম! কাণ্ড কি বিদঘুটে!  
দেখনারে কি দস্যি ছেলে! পড়ল কোথায় কেটে!
গলির মোড়ে সন্ধ্যা সাঁঝে
ছোকরা যারা শরীর ভাঁজে-
অমনি এলো দৌড়ে তারা ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে।


মুগুর ভাঁজা শরীর তাদের; এক ঢেলে এক কেলে!  
দেখেই দাদুর হেঁচকি এলো; চমকে গেলো পিলে।  
মিনমিনে তার গলার স্বরে
পড়ল  বিনয় ঝরে -  
লক্ষ্মী বাবা! যষ্টি লাঠি দে না খুঁজে; এমনিই যাব চলে।    


কিন্তু তারা দামাল ছেলে- জীবন মরণ পণ!  
উদ্ধারিতে দেশ ও জাতি করছে ভীষণ রণ!
নিদান হেঁকে হুকুম দিলো -
এই যে বুড়ো – থানায় চলো!
পাঁচশ টাকা গচ্চা গেল রাখতে তাদের মান।


গুমরে মনে ভাবেন তিনি- মিইয়ে গেলাম যেন!
হোকনা ওরা দামাল ছোঁড়া; ভয়টা পাব কেন!    
সটান তিনি বলেন- ওদের-
লজ্জা কি নেই একটু তোদের!
ওপরওয়ালা দেখছে সবই- এই কথাটি জেনো।    


অট্টহাসে উড়িয়ে দিলো এক নিমেষে ফুৎকারে-  
চ্যাংদোলাতে উঠিয়ে নিলো ঠিকমতো তার সৎকারে।  
চড়-চাপাটি লাথি ঘুষি
মারল ওরা যেমন খুশী    
কেউ এলো না রুখতে তাদের; আর্ত রোদন চিৎকারে!    


মাজার ব্যথায় কাঁপছে দাদু, প্রাণ করে আনচান
তার ওপরে নগদ বিদায়! খুইয়ে নিজের মান!
কষ্টে চলেন কোমর টেনে-  
চারকুড়িতে মানুষ চিনে-    
হদ্দ বেঅকুফ আচম্বিতে! দিল ভেঙে খান খান।।