অনেক জটিল জটিলতম কামনায়
বুঁদ হয়ে রই –
অথচ –
আমারই পাশে শুয়ে একাকী সরলরেখা
অধীনের স্বেদ মুখ হতে
তুলে নেয় বিন্দু বিন্দু পীযুষ কণা।


এ সরলরেখার –
কোন লজ্জা নেই –
কোন ভয় নেই
কোন জাতীয়তাবাদ নেই
এমনকি ক্ষণমাত্র উগ্রপন্থাও
অবশেষ কিছুমাত্র নেই।


অধীনের সমস্ত শরীর
শরীরের অভ্যন্তরে গোপন তিল
অচেনা বারান্দা, খোলা জানালা
উপচে ওঠে উচন্ড ফেরোমেন ঘ্রাণ।
এ সরলরেখার –
কোন মার্ক্স নেই
কোন তালিবান নেই
সাম্রাজ্যবাদী দাদাগিরি নেই
এমনকি যুযুধান প্যালেস্টাইন – ইসরাইলের
অবশেষ কিছুমাত্র নেই।


এ সরলরেখার –
সমস্ত মুখ –
যেন তারামণ্ডল
এ সরলরেখার –
সমস্ত শরীর হতে ঠিকরে বেরোচ্ছে
আদিগন্ত জ্যোৎস্না –
ডালিম ফুলের মত স্নেহ ব্যাকুলতা।  


এ সরলরেখার কাছে –
ক্ষনজন্ম তাপ নিরূপিত হয়
এ সরলরেখার কাছে –
যাবতীয় আসঙ্গ ব্যবধান
অথবা বিচ্ছেদ – ইত্যাদি
অবসর বিনোদন, অথবা
যাবতীয় জড়তা নিমিত্ত প্রায় –


অধীনের স্বেদ মুখ যেন তারামণ্ডল
কাক জ্যোৎস্নায়
মরা বালু পথ বেয়ে  
নদী রেখা দিগন্তে বিলীন
এ অধীনের ছায়া সরলরেখা
সামান্য প্রেমের লাগি –
আলাপী কাঙ্গালীপনায় আসীন।