ছেলেবেলা দিন স্মৃতি অমলিন                      
              এখনো মধুর লাগে
সোনালি বিকেলে রোদ পড়ে এলে
            হঠাৎ ই মননে জাগে।


এলোমেলো হাওয়া উতলা সময়
             উদাসী কূজন বায়
ফেলে আসা দিনে মন পড়ে রয়  
             সহসা পেছনে ধায়।


লুকোচুরি খেলা সময়ের সাথে
             মিঠি মিঠি আহ্লাদে
চুপি চুপি যেন ছুঁয়ে আসা ঘুমে
             অনুপম আস্বাদে।


আম্র মুকুলে মধুকর ফেরে
               মদিরা অন্বেষণে  
বারে বারে ফিরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখা
               নিবিড় সঙ্গোপনে।


চবুতরে বসে কবুতর যেন মেলেছে  
                 আলোক ডানা
দেয়ালের খোপে চোরা ঘুলঘুলি  
                 বিতানের আনাগোনা।


হিমেল পরশে দারুণ তরাসে  
                পরিযায়ী প্রজাপতি
গুটি সুটি পাখে মৌন আবেশে
                চুপি চুপি মাতামাতি।


আধো আধো স্মৃতি জমে আছে কত
                  সোনালি ধানের মাঠে
রাখালিয়া বাঁশি কেঁদে কেঁদে ফেরে
                  কানু বিনা প্রিয় গোঠে।


চরাচর জুড়ে রূপসী জোছনা
                    নিশাকর একা জাগে
প্রিয়তম স্মৃতি ফিকে হয়ে আসে
                   বলয় গ্রহণ গ্রাসে!


ফাল্গুনী রাতে লেপের আবেশে
                  সুখ স্বপনের ঘোরে
ছেলেবেলা দিন হেসে খেলে যায়
                  মনের আঙিনা জুড়ে।    


ঘুম চোখ খুলে একা বিছানায়
                  স্মৃতির সরণি খুলে
খুঁজে খুঁজে দেখি নুড়ি পাথরে
                  পরশ যদিবা মেলে!


এখনো সে দিন তেমনি আছে  
                  যেমনি ছিল আগে
কথাকলি ও তেমনি জাগিছে  
                   নব নব অনুভবে।


একে একে যত মানিক কণিকা
                    ফিরে পাই আশ্বাসে
কিশোরী সকালে অমৃত স্মৃতি  
                    চারণ অভ্যাসে।