অঘটন—
সে তো রোজই ঘটে, ঘটলে ঘটুক- সবকটা তো সত্যি নয়                  
বেশ কিছু তো এমনই রটে। আমার কেন ভাবনা হয়!
ভাবনা তো আর রোজ হয়না! রোজ দেখিনা আয়না
হঠাত সেদিন নিজেই দেখি—
নিজেই চেনা যায়না!  


এমনিতে—
আমিই আমার খবর রাখি! কারোর খবর চাইনা
তোমার খাবার সামলে রেখ; আমার খাবার দেই না।
ঝড়ের সঙ্গে লড়াই করা আমার কাজ তো নয়
তোমার লড়াই তুমিই লড়ো—
তুমিই দেখ লয়!  


হঠাত যেদিন—
আকাল এসে আমার দ্বারে কড়কড়িয়ে দরজা নাড়ে
ঘেমে নেয়ে গলদঘর্ম! মাথার পোকা উঠল নড়ে।
ঘরের বাইরে আসবো ভেবে নিজের বুকের দুয়ার খুলি-
দুয়ার খুলেই সামনে দেওয়াল!
বাহির হওয়ার রাস্তা ভুলি।  


রাগের চোটে—
মনের মধ্যে গরগরে এক গনগনে ভাপ অনুভূত-                                  
বাইসেপটা ঠাঁটিয়ে ওঠে-  লাগাম খানা পরাভূত।
বুকের মধ্যে উথাল পাথাল- মাথার মধ্যে ক্ষয়
সামনের দেওয়াল টাতে সজোরে কসাই লাথি-
এটাই মনে হয়!


একটু খানি হিচকিচানি –
এমন তো নয় ভাবনা গুলো এমন হতেই হবে!
দেওয়াল যদি বুঝতে পারে সে কি আপনি সরে যাবে?
জগদ্দল পাথর তো নয়! না হয় তাই বা কিছু হল
হঠাত যদি ঝুঁকে বলি—
আমার সঙ্গে চল!


আশায় থাকি –
আমার কথা শুনবে সে কি? বাড়িয়ে দেবে হাত-
তোবড়ে যাওয়া ডিশের থালায় সাজিয়ে দেবে— লবণ মাখা ভাত!  
এই অবেলায় এলেই যদি- কাটিয়ে যেও এই যে নিকষ রাত
ধুত্তেরিকা!
ফালতু কথায় হচ্ছি কেন মাত?


কাঁটার দেওয়াল –
সীমান্তে যা বসিয়ে ছিলাম, দাওনা ভেঙে তারে—    
দেওয়াল ভাঙা শক্ত কি আর! মরছি দেখো বিষক্রিয়ার ঘোরে  
রক্ত ক্ষরণ হতেই থাকে- শিরায় শিরায় ক্ষত
মনের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব—
যুদ্ধ অবিরত।