আমিই আমার স্বপ্নে এসে
                  আমায় দিলাম বকে-
লক-ডাউনের আস্কারা তে
                  যাচ্ছ খুবই বখে।  


কাজ কম্ম নেই কি তোমার!  
                   অলস শুয়ে বসে-
খেরোর খাতায় লিখছটা কি
                  কলম ঘসে ঘসে?


আরে বাবাঃ এ যে দেখি পদ্য লেখা
                  ছন্দ তালে মিলে
কুরুক্ষেত্র বাঁধবে জেনো
                  গিন্নি দেখতে পেলে।


রান্না ঘরে সকাল থেকেই
                 ব্যাতিব্যস্ত তিনি
কলম পেষার রাজ কার্যে  
                হচ্ছে টা কি শুনি?


মেয়ের খাতায় হোম ওয়ার্কে
                 হেল্প তো করতে পার
অনেক হোলো সকাল থেকে
                 এবার বিছান ছাড়ো।  


চায়ের চুমুক, জলখাবারে
                 সকাল গেল কেটে
দুপুর আহার, রাতের ভোজে
                রইল কি দিন মোটে!

দ্বিপ্রাহরিক নিদ্রা দিলে
               নাসায় তৈল ঢেলে
চায়ের হুকুম করছ আবার
                সুখের ঢেকুর তুলে!


লজ্জা কি নেই একটু তোমার
                চোখের মাথা খাওয়া!
বোধ বুদ্ধি আবেগ বিবেক  
                এক্কেবারে হাওয়া!


আবার দেখো! আড়মোড়া টা
               ভাঙছ বিছান জুড়ে
মেজাজ ভীষণ হচ্ছে গরম
               মারব বালিশ ছুঁড়ে।


দাঁত কেলাচ্ছ! বেআক্কেলে
                 কাষ্ঠ হাসি হেসে-  
পতিব্রতা পত্নী পেয়ে
                 খুব গিয়েছ বেঁচে।


তেমন তেমন পত্নী পেলে
                ঝগড়া দিত জুড়ে
ফুল বাবুটির ঝুল টি ঝেড়ে
                 কাব্য দিত পুড়ে।


ধড়ফড়ে বুক! চমকে উঠি  
                 ঘুম গিয়েছে চোটে
দুপুর রাতের স্বপ্ন কল্পে  
                কাব্য গেছে ঘেঁটে।