আমরা জনতা আমরা ক্ষমতা আমাদের দেশ এটা
আমরাই জানি সবচেয়ে ভালো চাইছে দেশের কেটা
রকের উঠানে চায়ের দোকানে টেবিল চাপড়ে আমি
বলে দিতে পারি আমার দেশটা কিভাবে বিপথগামী


প্রথমেই আসে পলিটিশিয়ান মহা জোচ্চোর ওরা
আখের গোছাতে ব্যস্ত নিজের দুর্নীতি বুক ভরা
গিরগিটি সবে রঙ বদলায় সব দলে একাকার
একবার শুধু গদি পেলে হায় সাতটা পুরুষ পার।
এর পরে আসে ব্যবসায়ী যারা টাকার কুমির সব
কিনে নিতে পারে সবকিছু ওরা কিনে নিতে পারে রব
রাজনীতিটাও বেচাকেনা হয় ওদের হাতের খেলায়
পর্দার পিছে থেকেও আসলে ওরাই দেশটা চালায়।


ডাক্তার নাকি ভগবান! ওরা আসলে রক্তচোষা
রোগীরা তো সব মাংসের তরে আপোষে মুরগি পোষা
জবাই টেবিলে শুয়ে থাকে রোগী ধুকপুক চলে নাড়ি
পয়সাই পারে বাঁচাতে তাহারে নতুবা সটান দাঁড়ি।
চারিদিকে ছেয়ে উন্নয়নে উড়ালপুলের সারি
ছিটেফোঁটা থাকে আমাদের তরে বাকিটা পুকুর চুরি
কাট মানি খেলো আমলা নেতা মহাজন' দপ্তরী
ইঞ্জিনিয়ার কারিগর নয় ভেজালের কারবারি।


উকিলেরা সব মিথ্যেবাদী পুলিশেরা ঘুষ খোর
কেরানি যদি সরকারি হয় নিশ্চিত কাম চোর
রিক্সাপুলার ছোটলোক সব মাথামোটা গামবাট
কর্পোরেটের নাক উঁচু তার বাবুয়ানি ঠাটবাট।
সাংবাদিকতা চাটুকারিতা বুদ্ধিজীবীরা ভাঁড়
টিচার মানেই পুচ্ছ ধারি অদ্ভুত কাক দাঁড়।
বিজ্ঞানী হলে সর্ব জ্ঞানী! বেদুইন কাম কাজ!
অজ্ঞ'রা হল ধর্মগুরু, ভন্ডরা মহারাজ।


কৃষকের দাবি ন্যায্য মূল্য ধোঁয়া ওঠা ফ্যান ভাত
বণিকের দাবি ভর্তুকিতে দেশটাই বরবাদ
ক্রিকেটার হলে জালিয়াত হবে শিল্পীরা ছিনে জোক
অভিনেতা হলে মাদকসেবী পরকীয়া প্রেম রোগ
মানুষের দাবি মানবাধিকার শাসকের অভিযোগ
বিরোধীর দাবি মর্যাদা চাওয়া অকারণ অনুযোগ।
পুরুষের দাবি সসাগরা তার অধীনতা ক্ষমতার
বিদ্রোহী নারী ক্ষমতায় চায় সমান অধিকার
পুরুষেরা করে শাসন সমাজ নারীরা ব্রাত্য তায়
পুরুষের দাবি নারীর শাসনে জীবন্মৃত সে প্রায়।


এরপরও আছে অনেক কিছু এখনো হয়নি শেষ
তবুও জানবে সুমহান সে এই আমাদের দেশ।
শিক্ষক ভাবে ছাত্ররা সব গরু গাধা গাড়োয়ান
ছাত্রের কাছে শিক্ষকেরা প্রাইভেট পালোয়ান
বড়রা বকছে ছোটদের- মোবাইলে তারা বুঁদ
ছোটদের দাবি- “বড়রা” সব কাজে ধরে খুঁত
বুড়োরা ভাবছে চ্যাংড়ামিতেই দেশ গেছে পুরো ভরে
যুবক ভাবছে আকাল এসেছে বুড়োদের অতি ভারে।


বেকারের দাবি হাতে কাজ আর গার্লফ্রেন্ড রবে পাশে
গার্লফ্রেণ্ড খোঁজে চাকুরিজীবী নিজের ভাগ্যাকাশে।
রক্ষণশীল পর্দানশীন সংস্কার দাবি করে
দম ঘুটে আসে কারো’বা আবার পোশাক অত্যাচারে
স্বল্প পোশাকে স্মার্টনেস কারো, কেউবা খরচা খাতে
শাড়িতেও সতী লাঞ্ছিতা হয় দুঃশাসনের হাতে
রক্ষক নাকি ভক্ষক হয় পুরুষেরা ধর্ষক
অভিযোগ তাই আইন প্রণেতা সকলেই দর্শক।


সকলেই দেখে সকলের প্রতি সন্দেহ ঘনঘোর
পান থেকে চুন খসলেই হল- সকলেই বলে চোর
সব ব্যাটারাই শ্রেণি শত্তুর এলিয়েন এই দেশে
জনতাই শুধু ধর্মপুত্র বিভীষিকা অবকাশে!!