এক দুর্গা মজুর খাটে- একশ দিনের কাজে-
আর এক দুর্গা- বাবুর বাড়ি এঁটো বাসন মাজে।    
ভিক্ষা মাগে পথে ঘাটে
ঘর্ম ঝরায় মাঠে-
কর্মঠ এই দুর্গারা সব আগুন বুকে বাঁচে।  


এক দুর্গা জোয়াল টানে সন্ধ্যা দুপুর প্রাতে-
আর এক দুর্গা শরীর বেচে নিয়ন আলোর রাতে।
ছাত্র পড়ায়, সেলাই করে
সং-সার রাখে ধরে -  
হাড় ভাঙা শ্রম-! হিসাব জমে বেহিসাবের খাতে।  


এক দুর্গা পাথর ভাঙে- পাহাড় খোদে রোদে-            
আর এক দুর্গা রিক্সা টানে- অনভ্যস্ত বোধে।                    
মাথায় ভারা; উদোম শিশু কাঁখে  
রাস্তা গড়ে- জীবন ধরে রাখে
দূর্বার এই দুর্গারা রোজ দুর্যোগ দেয় রোধে।    


এক দুর্গা বিমান চালায়; লড়াই- নিজের সাথে নিজে-  
আর এক দুর্গা সমাজ তন্ত্রে জীবনকে নেয় বুঝে।  
বিধি নিষেধ- টপকে বেড়া
নিজের পায়ে নিজেই খাড়া
দুঃসাহসী দুর্গা বাঁচে দিন বদলের ঝাঁঝে।    


এক দুর্গা পূজ্য ভবে দু চার দিনে- মণ্ডপে মণ্ডপে।
হাজার দুর্গা নিত্য পোড়ে দহন জ্বালা খাণ্ডবে, তাণ্ডবে।  
লাঞ্ছিত সে! লুণ্ঠিত সে-
লোলুপ লোচন নাগপাশে।  
কালের দুর্গা শরীর দিয়ে-ই অদৃষ্ট কে খণ্ডাবে।।