শালিনী –
শেষ বার তোমার বুকের কাছে
অধিবাসে থেকেছি অনেকক্ষণ;
অনেক কথার মাঝে- বলেছিলে
অসভ্য— এই শেষ –
আবার চেয়ো না এমন!
প্রশ্ন করিনি—
কি চেয়েছি?
কি দিয়েছো আমায়?


শুধু জানি –
হাতের তালুর মতো;
লুকানো তিলের মতো
চিনে নিয়েছো আমায়—
কি চেয়েছি?
কি দিয়েছো আমায়?


আকাশে মেঘ জমলে –
অভ্যস্ত হাতে এলোমেলো করে দিয়েছো চুল;
উঠোনে জোড়া শালিক দেখে—
— আলতো চুমু;
আর আরশোলা দেখে  
— হঠাৎ আদর!
— কি দিয়েছো আমায়?


যতবার কাছে আসি –
আমারে নিয়েছো বুকে
কবির আদরে অন্দরে,
পুরুষ আমি –
এখনো দ্বারের বাহিরে।  
যতবার কাছে আসি
শুনি কথোপকথন –
তোমার ভেতর থেকে যেন কেউ  
কবিরে করেছে আহ্বান;
একা পুরুষ –
একাকী অলিন্দে থেকেছে নিরুত্তর।
কবি তার সমস্ত অঙ্গ সজ্জা ফেলে
মিশে গেছে তোমার ভেতর—
কি চেয়েছি?
কি দিয়েছো আমায়?


আঙুলে আঙুল ছুঁইয়ে বুঝিয়েছ –
কতখানি প্রেম রয়েছে সঙ্গোপনে;  
আঙুলে আঙুল ছুঁইয়ে বুঝিয়েছ –
উদাসীন ভালবাসার মানে –
কামিনী ফুলের কাছে
মধুগন্ধী ভ্রমর পরাগ ছুঁয়েছে; তবুও
মুদিত কলির কাছে – একনিষ্ঠ আদর,
একটুখানি স্নেহ ভিক্ষা চায় –
কি চেয়েছি?
কি দিয়েছো আমায়??