ময়ূরাক্ষী
হঠাৎ কি হল তোর—
ধানি জমি ছেড়ে উঠে এলি ঘরের ভেতর!
এখানে খাটের ওপরে বালিশের ভাঁজে
ঘেমো দাগ লেগে থাকা কাঁথার পাতায়
জবুথুবু কবিতারা শুয়ে থাকে খালি গায়
গালি খায় রাত দিন; অবিচার, ব্যভিচার
ব্যাঙাচির মত আনাচে কানাচে
বালিয়াড়ি বাঁধ দিয়ে রুখে দেওয়া আবেগের ঢেউ
লুকানো তিলের মত তিলে তিলে ভুলে যায়
আবেদন যত; কে যেন বলেছিল—
ভালবাসা হলে- ভালবাসা যায়
                           বিবাগীয় বিয়োজন ক্ষত!  


এ যুগের সব কিছু ভালো, কালো মিলে মিশে  
বয়ে যাওয়া স্বচ্ছতোয়া স্রোতস্বিনী- পাড় ভেঙে
ঢুকে আসে বুকের ভেতর- আদরে আদরে তার
                            খসে পড়ে যযাতিয় ভ্রম-  
অধস্তন প্রেমিকের হাতে সঁপে দিয়ে শরীরের ভার
কৃপণ চুমুতে তোর বিজাতীয় শোষণের ঘ্রাণ
আমিও অবুঝ পুরুষ হয়ে লাঙলের ফালে
ফালা কালা করে দিই কাঙালীর যোনি  
ক্ষুধা সব মিটে গেলে মেলে তবে মুঠোটাক ত্রাণ!!