ময়ূরাক্ষী –
তোর কাছে আজ ফিরে যেতে চাই- আর নয় অভিমানে-  
হৃদয়ের ভাঁজে জমানো কথার মুক্তির অভিযানে।
নুড়ি পাথরের অভিঘাতে যত-
না বলা কথায় জমে থাকা ক্ষত-  
পেরিয়ে; ফিরে পেতে চাই ফেলে আসা স্রোত নিবিড় সন্তরণে।    

জলছবি যত এঁকে রাখা মনে গহীন সঙ্গোপনে
উজাগর হোল এই নিশীথে আবেশের মন্থনে
গুটি গুটি পায়ে জানালার পাশে
ছুঁয়ে থাকা হাওয়া জড় অভ্যাসে
সহসা কেন যে মাতালো আমায় মিলন আমন্ত্রণে!


ছল ছল চোখ! একি হোল তোর! ফুলে ওঠা নিঃশ্বাসে-
এই দেখ চেয়ে- এখনো যুবক! পুরাতন বিশ্বাসে।  
কাঁচা পাকা দাঁড়ি! হতেও পারে-
চিকন অলক গিয়েছে ছেড়ে-  
হৃদয়ে মরচে পড়েনি এখনো! ছুঁয়ে আছি তোকে এইটুকু আশ্বাসে।    


সে দিন গিয়েছে ভেসে! সিন্ধু নদের গ্রাসে! নির্জীব ইতিহাসে-
খিল খিল করে হেসে- কি করে বললি রে তুই অনায়াস উপহাসে!    
সময়ের পিছে স্মৃতির সরণি খুঁড়ে
অবচেতনের ঝুল ঝেড়ে ঝুড়ে  
অববাহিকায় বিরহ পলল জমেছে অনিঃশেষে।                  


এই বিরহের অকরুণ ছোঁয়া পেয়েছি- মহেঞ্জোদারোর ইতিহাসে
কথাকলি দের বারে বারে আসা অপরূপ উচ্ছ্বাসে-
দিনগত পাপে ছুঁড়ে দেওয়া প্রেমে
বিক্ষত মন এখনো যায়নি থেমে
ইতিহাস গুলো ফিরে ফিরে আসে হৃদয়ের ক্যানভাসে।