তেলের বোতল চুপটি করে
                  কুলুঙ্গিটার কোনে
জুলজুলে চোখ তাকিয়েছিল
শুনছিল একমনে।  


তখন থেকে ভ্যাজর ভ্যাজর!  
                  ভল্যুম‘টাতো কমাও
চেঁচিয়ে পাড়া তুললে মাথায়!
দ্বন্দ্ব এবার থামাও।    


হামলে পড়ে ঝগড়া করে
                  কাজের কাজটা কি!
উলুর বনে মুক্তা ছড়াও
ভস্মে ঢালো ঘি!  


আমায় দেখ! চুপটি বসে
                  নিপাট ভদ্র লোক
যদিও ওরা সবাই মানে  
আমিই আসল রোগ।  


তাই বলে কি ফেলছে আমায়!
                  সব খাবারের থেকে
মধ্যপ্রদেশ বাড়লে খানিক
আপনি নিজেই ঢাকে।  


তারও পরে জরুর হলে
                   জিম যাওয়া'তো আছে
জানোই তো ভাই ঝুঁটি বাঁধা
স্বাদ কোরকের কাছে।


এই যে তুমি নুন বাবুটি
                   হম্বি তম্বি ঝাড়ো
সকাল বিকাল সব প্রচারের
আলোকটুকু কাড়    


মেজাজ যতই হোক না কড়া
                    জল দেখলেই শান্ত
অনেক হোল; ঝগড়া থামাও  
এবার তো দাও ক্ষান্ত!


তুমিও বাপু চিনি বাবু
                    যাওনা মোটে কম
পায়ের ওপর পা লাগিয়ে
তাল ঠোক হরদম!


নিষেধ যারা করছে করুক
                     শুনছেনা'তো কেউ
আমরা কেন ঝগড়া করে
করছি'রে ভেউ ভেউ!!  


====================
নুন ও চিনির দ্বন্দ্ব (রম্য রচনা) ১ম পর্ব
====================
নুন বলল- শোনরে চিনি  
                  সমঝে চলিস বেশ  
ডায়াবিটিসের বাড়ছে প্রকোপ
কমছে’যে তোর রেস।      


সাইড’এফেক্টে ওজন বাড়াস!
                 সবার চক্ষুশূল
তোর বিদায়ে হাড় জুড়াবে
আনন্দে মশগুল!  


শুনেই চিনি বলল নুনে—
                ভাবিস না’হয় কম  
ব্লাডপ্রেসারও বাড়ছে ভীষণ
টেনশনও হরদম  


বাজার তোরও পড়তি ওরে  
                লাফাস না আর বেশী
আমরা আগে আপন ছিলাম  
এখন ভিনদেশী!


কি যে বলিস ফালতু কথা
               কিসে এবং কিসে-
পিসির হঠাৎ গোঁফ গজালে
বলবি কি তুই পিসে!


মানছি লোকে স্বাস্থ্য নিয়ে
               ভাবছে না হয় বেশী
তাই বলে কি নুন তাড়াবে
ফুলিয়ে হাতের পেশী!


খাওয়ার পাতে আমায় বিনে
               স্বাদ ছড়াবে কে?
জবাব কি তোর আছে কিছু
আমায় বলে দে!  


অমন করে বললি যখন
               বলছি তোকে ভাই—  
চিনিও ছাড়া চলবে না রে
চাইরে আমায় চাই।    


ডায়েট মেনে চলবে কত!
               এনার্জি’টাও চাই  
শর্করা’তেই শক্তি মেলে  
আমি অপরিহার তাই।  


যা বলেছিস! একমত ভাই  
                দ্বন্দ্ব দ্বিধা নাই
ব্যাল্যান্স করে চললে পরে
ভয় নাই, ভয় নাই।।
====================
নুন ও চিনির দ্বন্দ্ব (রম্য রচনা) ২য় পর্ব
====================
দ্বন্দ্ব শেষে লবন বলে  
               মিলেই তবে থাকি—
শুনেই চিনি বলল রেগে
হয় কখনো তা'কি!


তুই যে ব্যাটা পাজীর ধাড়ী
                কুচুটে তোর ভাব    
মিষ্টি আমি মদির অতি
মধুরই স্বভাব  


সবার সাথে যাইনা মোটে  
                কুলীন হলাম আমি
তুই মিশে যাস সবার ভিড়ে  
ভীষণই কম দামী।  


মোহনভোগে মিহির দানায়
                 দরবেশে সন্দেশে
পূজা পরব উৎসবেতে    
কদর ভালবেসে!


নোনতা’রে তুই দাঁড়িয়ে থাকিস
                 শুকনো মুখে হেলায়
চপ পেঁয়াজি তেলে’ভাজায়    
ফুটপাতের ওই ঠেলায়।


তোর সাথে মিল ক্যামনে হবে
                 আকাশ-পাতাল তফাৎ
জোর করে ভাব জমাই যদি
স্ট্যাটাস জল-প্রপাত!  


ঠিক বলেছিস মিষ্টি রে তুই
                 অনেক আদর তোর  
রূপেতে তোর দেমাক ভারি  
চক্ষে লাগায় ঘোর  


কিন্তু ভেবে দেখিস রে ভাই
                 তোর পেছনেও আমি
স্বোয়াদ টা তোর তখন খোলে
যখন লবণ অন্তর্যামী  


আভিজাত্যের বড়াই করিস!  
                  পিঁপড়ে তোকেই খায়
আমার কিন্তু মেজাজ কড়া  
তফাতে তাই রয়!!
===================