রাধাঃ
         চরিত্র ও যায় রে ধোয়া থাকলে হাতে মজুতদারি ক্যাশ  
         ও সব আমি বুঝেই নেব- তুই ফুট, জ্ঞান দিস না ব্যাস।  
         আমার জীবন আমার শরীর-
         ধার ধারি না খবরদারি র
         সমাজ! লজ্জা! অশ্লীলতায় আমি কেয়ার-লেশ।


মাধবঃ
        ধন্যি রাধা! আমিই হাঁদা- চটকদারি চলতি মোহে    
        দু-চার কথা বলছি তোকে ব্যর্থ রোষে দারুণ ক্ষোভে
        তোরই শরীর তোরই জীবন-  
        মধ্য সত্ত্বে আত্ম হনন!      
        নষ্ট তো নয়, স্পষ্ট কথায় হৃদয় যে তোর উজ্জ্বলতায় সোভে।    

রাধাঃ
        হায়রে মাধব বুঝলি কি তুই একটু আমার জ্বালা!  
        থাকিস ভাল আসিস কাছে নাই বা দিলাম মালা।
        আমার তরে দুঃখ পেলে
        পর জনমে রাধা হলে-
        মনের সুখে কাঁদিস রে তুই লুকিয়ে মনের জ্বালা।  


মাধবঃ
        আমার প্রাণের প্রিয়া দিচ্ছি কথা রাখব হিয়ায় ধরে  
        তোর চরণ যুগল সাজিয়ে দেব অশ্রু কণায় ভোরে
        তুই প্রিয়া মোর থাক রে সুখে
        আলোক কিরণ পড়ুক মুখে
        রাধা মাধব গুঞ্জরিত কুঞ্জ বনে চিরটাকাল প্রেমের বাহু ডোরে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
যারা পূর্ববর্তী পর্ব গুলি পাঠ করেন নাই অথবা সকলের পাঠের সুবিধার্থে প্রথম তিনটি পর্ব নিম্নে সংকলিত করে দিলাম...
---------------------------------------------------------------------------------------------------------
@ রাধা মাধব সংলাপ (১ম)


রাধাঃ
        মাধব! তুই আর আসিস নারে মন যমুনার ধারে-    
        পিরিত সকল ফেলেই দিলাম কাল যমুনার পাড়ে।
        উঠতি বয়স ডাগর ডোগর!
        প্রেম পিরিতির শরীর খবর-  
        আবিষ্কারের মোহেই- যাচ্ছি চলে আয়ান ঘোষের ঘরে।                        


মাধবঃ
        এমন কথা কইলি রাধা! আগুন লাগে অঙ্গে যে-  
        ছাড়ুম না! কই এত্ত সোজা! যাব তোর ঐ সঙ্গে যে।  
        জীবন তোর ঐ ঘাটেই বাধা
        আমি মাধব তুই রে রাধা,
        আয়ান ঘোষের ছাতার তলে দুজনে তে করবো বে।  


রাধাঃ
        মাধব রে তুই কথার ছলে- ছল করবি আর কত!  
        কুঞ্জে গোপীর গোপন খেলায় খেলবি খেলা আর কত!
        তোর যদি রয় পুরুষ গরব
        আমার বুকেও যোবন সরব  
        আকুল পাথার দহন জ্বালা- সইব প্রাণে  আর কত!


মাধবঃ
        এই তো সবে কলেজ গেল! আর কটা দিন সবুর কর
        চাকরী কোথায় পাই বলত! তুইই না হয় ছাত্র ধর।  
        মেসোর পিসের আপন শ্বশুর
        শাসক দলের মাতব্বর        
        উমেদারি করছি আমি! দোহাই রে তোর! একটা কিছু উপায় কর!


@ রাধা মাধব সংলাপ (২য়)


রাধাঃ
        একুশ গিয়ে বাইশ এল, কুঞ্জে অলি গুঞ্জে গেল-
        হঠাৎ ঘরের বাইরে এলে হাজার চোখে খামচে খেল!
        বাপের বুকে জমছে পাথর
        কূলের গায়ে লাগছে আঁচড়  
        পালটি সে ঘর আয়ান ঘোসের, তাকে খানিক সাহস দিল!  


মাধবঃ
        কি আর এমন পালটি সে ঘর! মেঘে মেঘে তারও বয়স হল!  
        মেসোর সাথে পড়ত ও তো- হত কুচ্ছিত! মামদো হুলো।  
        উনার এটা তৃতীয় বিয়ে-  
        আরো কত আছে ইয়ে!
        ঘরে দুই গণ্ডা ছাওয়াল! তুইই বল- তোকে কোন নেশায় পেল?  


রাধাঃ
        হোকনা বয়স! যোয়ান মরদ- পাটের আড়ৎদারি
        ভরন্ত তার গেরস্থালী চলন বলন বড়ই মনোহারী
        ছাওয়াল গুলোও লায়েক হল
        বাপের গদি সামাল দিল
        রাজার হালেই রাজ করব আয়ান বধূ রাধা সুন্দরী!  


মাধবঃ
        আয়ান আয়ান করিস না তো গাত্র গেল জ্বলে-  
        মাকাল গাছে মাকাল ই হয় আম তো নাহি ফলে।
        ব্যাটা হাড় বজ্জাত দুনম্বরী
        আন্ত রাজ্য পাচার কারি
        চোরাই মালের পোদ্দারি তে ই আঙুল গেছে ফুলে।


@ রাধা মাধব সংলাপ (৩য়)


রাধাঃ
          আঙুল ফুলে কলা গাছ! তাতে তোর হয়েছে কি?  
          তুই ভিখারি জাত হারামি শুঁকিস কেন ঘি!  
          বাজে কথায় নষ্ট সময় মিছেই
          যা না রে তুই মাতব্বরের পিছেই      
          কার ঘরে কে রইবে সুখে ভালোই জানে বৃষভানুর ঝি।          


মাধবঃ
        গালি দিলি! হারামজাদী! ভানু পাষণ্ডের ঝি!  
        লায়েক হয়েই আসব ফিরে দিব্বি দিয়েছি।  
        দেখবি আমায় ফুলবাবুটি  
        চুষবি বসে আমড়া আঁঠি
        বুলেট চড়ে ঘুরব গাঁয়ে- এই দ্যাখ বলে রাখছি।      


রাধাঃ
        ফের যদি তুই বাপ তুলেছিস মারব কষে চড়      
        ভুলিয়ে দেব বাপের নামটি, ভুলবি চরাচর
        লায়েক হয়ে আসবি যখন
        আতরদানি আনিস তখন
        তখন না হয় দেখব ভেবে! আয়ান হবে পর।


মাধবঃ
        তুই দেখছি মস্ত ঘুঘু! চালাক অতি ফ্রেন্ড সার্কেল মেয়ে।  
         প্রেম পিরীতির বালাই তো নেই, শুধু টেঁক এর পানেই চেয়ে!
         রঙ শুধু তোর গোরা হলো!
         মনটা বেজায় কালো-    
         চরিত্রতে লাগলে কালি মুছবি রে তুই কোন ক্ষারকে ধুয়ে?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------


* প্রিয় কবি বন্ধুরা-
   এই কাহিনীর পাত্র পাত্রী রা সম্পূর্ণ ভাবে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে চিত্রিত।
   কোন প্রকার ধর্মীয় চরিত্রের সঙ্গে নিমিত্ত মাত্র সম্পর্ক রহিত।