কমলাকান্ত দপ্তরে বসে
হুঁকোটাকে পাশে সরিয়ে
ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখে-
চোখ দুটো তার ভরিয়ে।


খেরোর খাতাতে লিখে রাখে সব
অতীব যত্নে গুছিয়ে
খাসির মাংসে বিয়ে ভেঙ্গে দিলো-
এলেম কি তার বুঝিয়ে!


রমলাকান্ত পাত্র ভালোই
ঘটক বলেছে বুঝিয়ে
বিয়ের বাসরে ক্ষেপে গিয়ে সে
চটক দিয়েছে ঘুচিয়ে।


জ্ঞাতি ভেবে লোকে তেড়ে এলো
লাঠিসোটা নিয়ে উঁচিয়ে
দপ্তরে বসে কমলাকান্ত অসহায়
প্রাণ ভয়ে ওঠে চেঁচিয়ে।


আফিমের নেশা কেটে গিয়ে হায়
মাথা গেলো জটে জড়িয়ে
“জগদম্বে” আর তো মোটে কটা দিন মাগো
কোনমতে দিও তরিয়ে।।
=================================
"বিয়ের ভোজে খাসির মাংস না পেয়ে শ্রীমান পাত্র বিয়ে ভেস্তে দিয়েছেন" সামাজিক মাধ্যমে এ খবরটি দেখেছি, তবে পড়া হয়নি। প্রিয় কবি শ্রীযুক্ত কবীর হুমায়ূন এর আজকের কবিতা "রমাকান্তের বিয়ে" থেকেই সমগ্র তথ্য সংগ্রহ করে এইমাত্র আমিও কয়েক লাইন লিখেছি। যদিও কাব্যিকতার কারনে পাত্রের নাম "রমাকান্ত" পরিবর্তন করে রমলাকান্ত করেছি। এই কবিতা প্রিয় কবি শ্রীযুক্ত কবীর হুমায়ূন কে উৎসর্গ করলাম।