সতেরো বছর আগে- যখন আমার উনিশ    
হৃদ গগনে মেখলা মায়া পঞ্চমী রজনীশ-
কুহকী মনের মাতাল খেলায় সপ্তমে অবনীশ!    


ভাবনা গুলো শরীর পেতে ঠোটের কোনায়
আলতো সবে জমছে, লেখনীর পালক ছোঁয়ায়  
দু-এক কলি ছাইপাঁশ কিছু সফেদ পাতায়
আবেশর আকুল বশে আলপনা তার আঁকছে।
ব্যাকুলা- বাতাস তখন- গোঠের মাঠে বেহাগ গেয়ে    
শ্যামলী নদীর বুকে সোহাগ লুটে- ধবলী গাইয়ের মত
হরিত ক্ষেতে উধাও চিতে- নিশিদিন দিগ্বলয়ে
মেঘলা নায়ে- উজানের অকূল স্রোতে উদাস বায়ে বাইছে;  


উনিশের তরুণ কবি- নিজেকে নিজের মাঝে জোনাক হয়ে  
পিদিমের আলোক ফেলে গহীনের অতল হতে ঝিনুক খুঁজে    
খোলকের নীড়ের ভেতর- পললে পলল বুনে- অভাবী চাষার মত  
উশর ভূমে- মরমের ঘর্ম দিয়ে মর্ম তাহার- নীরবে নিজের করে জানছে।    
অশনির ঝিলিক টুকু হারানোর বিষণ্ণতায়- বিলীনের আলতো আগে-
শিশিরের স্ফটিক ছুঁয়ে- সাতশ রঙের রামধনুকের ব্যাপ্তি পেয়ে- হৃদয়ের আগল টুটে-
সসীমে অসীম খোঁজে উধাও হয়ে ধাইছে; লেখনীর পালক ছোঁয়ায় দু-এক কলি ছাইপাঁশ কিছু
হৃদয়ের সফেদ পাতায় আবেশর আকুল বশে- অকৃপণ আলপনা তার আঁকছে।