সন্ধ্যা শ্রাবণ বৃষ্টি প্লাবন ছিলিমে দম দিয়ে  
মগ্ন ছিলেন দেবাদিদেব স্বপ্ন অলিক নিয়ে  
এমন সময় দুর্গা দেবী সুধান শিবে ডেকে  
মর্তে যাওয়ার লগ্নটা ঠিক এই বেলা নাও দেখে


ঝটকা লেগে মৌতাতে মটকা হলেও গরম
সামলে নিয়ে শৈব্য বাবু বললে অতি নরম    
জানোই তো সব; কি জ্বালাতে জ্বলছে মর্তপুর
কি দরকার যাওয়ার বল ধাপধাড়া ওই দূর!  


রাস্তা খারাপ, লোডশেডিং আর দুর্নীতি ভরপুর
তার ওপরে বাজার চড়া তপ্ত কড়া ভাল্লাগেনা ধুর
হাড় জিরজির প্যাংলা শ্যালক; জামাই আদর নাই
রক্ষে কর; কান মলেছি; ওই দিকে আর যাই!  
  
শাট আপ! তোমার এত্ত সাহস! বাপের বাড়ি ওটা
ফের যদি কুছ বেচাল বলো কাটবো তোমার জটা  
কি যে ছিরি হচ্ছে তোমার ভুত প্রেতেদের সাথে
গন্ধে গায়ের পাচ্ছে বমি- ঘুম আসে না রাতে  


সাবান মেখে শ্যাম্পু করে বাগিয়ে চুলের টেরি  
ঘুরেই এসো গড়িয়া হাটায় একটুও নয় দেরি
স্নো-পাউডার লেটেস্ট ফ্যাশান সানগ্লাসটাও নিও  
জামদানী তাঁত ঢাকাই শাড়ি যুগ যুগ সব জিয়ো


অগত্যা আর কিইবা করা! কান’টি নিজের মলা  
মহেশ বাবু বেশ বুঝেছেন বিবাহিতের জ্বালা
জগৎ-তারণ হলেই বা কি! ডেইলি সোপের প্লট    
গিন্নি শুধুই কইবে কথা; স্বামী স্পিকটি নট…🫢।।