হল্লা পাড়ায় হচ্ছে কেন এলাম একটু দেখে
তুমুল লড়াই লড়ছে দুজন খালের কাদা মেখে
লটপটিয়ে লড়ছে তারা
গাল পাড়ছে বাঁধন ছাড়া
হাতের ব্যায়াম সারছে শুধুই চক্ষু দুটি রেখে।


শুধাই তাদের কারণটা কি? বলল কারণ জবর!
গাঁ গঞ্জে হচ্ছেটা কি রাখছো না সে খবর!
বাঘার ছেলে গুপির মেয়ে
কলেজ কাটার সুযোগ পেয়ে
বেপাত্তা পরশু থেকে! তাই পুলিশ রাখছে নজর।  


ধরলে পুলিশ আঠারো ঘা এখন সবাই জানে-
শশুর জামাই লুকিয়ে পড়ে মানিক পীরের থানে।
ভয়ের চোটে বেদম ঘোরে
যুক্তি মতন চুক্তি করে –
দেনমোহরের বিবাদ ছেড়ে বাঁচলো গুপি প্রাণে।


কিন্তু যারা লড়তে ছিল পড়ল তারা ধরা
মেজ বাবুর প্রখর নজর কেউ পাবে না ছাড়া!
দরদাম টা ভালোই হলো
চারশো টাকা ফাইন দিলো
গরমা গরম বিচার পেয়ে চক্ষু ছানাবড়া!


মূল্য পেয়ে চলল পুলিশ নতুন শিকার খোঁজে-
শিকার ধরার কি যে খুশি! কজন সেটা বোঝে?
বেঅকুফ গুলো লড়তে থাকে
মধ্যপ্রদেশ বাড়তে থাকে
উপরি পাওয়া দারুন সুখের দুই চারশ রোজে।
____________________________________________
এই লেখা টি এইমাত্র লিখলাম..... প্রিয় কবি মোঃ মমিনুল ইসলাম এর আজকের উপস্থাপিত রম্য কবিতা র মন্তব্যে প্রিয় কবি শ্রীযুক্ত সঞ্জয় কর্মকার সুন্দর একটি লিমেরিক লিখেছিলেন.... তার উত্তরে কিছু লিখতে গিয়েই এই লেখার সূচনা.... তাই এই লেখা টি দুই প্রিয় কবি কে উৎসর্গ করলাম।