✍️কবিঃ- সঞ্জয় কর্মকার
----------------------
হুলোর ছেলের নাতির বিয়ে চোদ্দ আনা পণ
তাই দিয়ে সে কিনবে গাড়ি চড়বে আমরণ।
যেই গেল সে করতে বিয়ে
উঠলো ডেকে ফিঙে টিয়ে,
মাইয়া আমার তাল কানা ভাই; শ্বশুর হেসে কন।


হইলো বিয়ে আইলো বাড়ি সেদিন বাসর ঘর
হন্যে হয়ে বউ রে খুঁজে ঘর হতে সে ঘর।
বাদ্যি গেল বদ্যি এলো
তার সাথে সে হুলোও এলো,
বলতে পারো ও ভাই তুমি; কি হলো তার পর?


✍️কবিঃ- অভিজিৎ জানা
----------------------
কিই যে হবে! হুলুস্থুলু! কান্না লাগামছাড়া-  
বউ পালাল বাসর রাতে! চক্ষু ছানা বড়া!
মেসোর পিসের মাসতুতো ভাই
হুলোর মেয়ের আপন জামাই    
ছড়ায় দিল জবর খবর! দৌড়ে এলো পাড়া।  


বোস গিন্নি কপট শোকে ডুকরে উঠে কেঁদে-  
বলল- কিছু ফষ্টি ছিল! কেমনে রবে বেঁধে!  
সেই যেদিনে খবর পেলাম
মেয়ের বাড়ি ছাতার গেরাম        
ঠিক জানতুম এমনই হবে; গল্প দিল ফেঁদে।  


✍️কবিঃ- সঞ্জয় কর্মকার
----------------------
হুলোর শোকে দুনিয়া কাঁপে ভূমি-কম্প শুরু
আকাশ ঘনায় বজ্র বাদল নাদ সে দুরু দুরু
উঠলো তুফান তড়িৎ বেগে
নাত বৌ তার গেছেই ভেগে,
হৃদয় সে দ্বার রুদ্ধ হলো; বলছি তোমায় গুরু।    


✍️কবিঃ- অভিজিৎ জানা
----------------------
কি হবে আর জীবন রেখে! ব্যর্থতা সব খানে!
মাথায় না হয় বজ্র পড়ুক নির্মেঘ আসমানে-
খুঁজতে দড়ি খাটের তলে
অমনি হুলো দেখতে পেলে  
নাত বৌ! সে ঘুমিয়ে কাদা ঘুমটা মুখে টেনে!!    


✍️কবিঃ- সঞ্জয় কর্মকার
----------------------
চর চাবিলা হর কাবিলা বিজলি সেই কশা
তলার থেকে বাইর করে হল মাঝা ঘষা।
বোসের বৌ গোমড়া মুখো
তার সাথে ভায় আছে দুখ ও,
বদন হলো কালো তার ই; হাসলো মাছি মশা।
=================================================================
এই লিমেরিক গুচ্ছের প্রথম ছয়টি স্তবক ২১/১০/২০২০ তারিখে লেখা "হুতুম" কবিতার মন্তব্যে লেখা হয়েছিল। আর শেষের স্তবক টি এই মাত্র এই কবিতার মন্তব্যে লেখা হয়েছে...